বদলে গেল ত্রিপুরা বিমানবন্দরের নাম। বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই বিমানবন্দরের নাম দেওয়া হয়েছে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যের নামে। গতকাল বুধবার ভারত সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়।
ভারতে সীমান্ত লাগোয়া আর কোনো বিমানবন্দর নেই। ভারত ভাগের আগেই ব্রিটিশ সরকার এই বিমানবন্দরটি চালু করে।
ত্রিপুরার শেষ মহারাজা বাংলাদেশের চাকলা রোসনাবাদের শেষ জমিদার ছিলেন, বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য। চলতি বছরে ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রতিশ্রুতি ছিল প্রয়াত আদিবাসী মহারাজার নামেই বিমানবন্দরের নাম দেওয়া হবে।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন রাজ্য মন্ত্রিসভা নামবদলের প্রস্তাবটি দিল্লিতে পাঠায়। গতকাল ভারতের মন্ত্রিসভা সেই প্রস্তাবকে স্বীকৃতি দেয়।
নাম বদলের পর টুইটে ত্রিপুরাবাসীকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীও প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যবাসীর পক্ষ থেকে পাল্টা অভিনন্দন জানিয়েছেন।
গতকাল রাতেই দিল্লি থেকে আগরতলা ফেরেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে মন্ত্রী, বিধায়ক ও বিজেপি সদস্যরা বিমানবন্দরে বিশেষ অভ্যর্থনা জানান। বাজনা বাজিয়ে, বাইক মিছিল করে মুখ্যমন্ত্রীকে শহরে নিয়ে আসা হয়।
আগরতলা বিমানবন্দরের নামকরণ করা হয়েছে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যের নামে। ছবি: প্রথম আলো
আগরতলা বিমানবন্দরের নামকরণ করা হয়েছে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যের নামে। ছবি: প্রথম আলো
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী দিনটিকে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেন। তাঁর মতে, রাজ্যবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো। মহারাজা কিশোর মানিক্যকে তিনি আধুনিক ত্রিপুরার রূপকার বলেও বর্ণনা করেন। বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও ছিল বিমানবন্দরের নামবদল।
বিমানবন্দরের নামবদলকে স্বাগত জানিয়েছেন, ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি তথা রাজ পরিবারের উত্তরসূরি প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মণ।
আগরতলার আদিবাসী সংগঠনগুলোও নামবদলে খুশি। বিজেপি সরকারের জোট শরিক আইপিএফটির পক্ষ থেকে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে।