যুক্তরাষ্ট্রের নাসা এবং স্পেসএক্সের তুলনায় আরও বড় রকেট তৈরির পরিকল্পনা করছেন চীনের গবেষকরা। তাদের এসব বৃহদাকার রকেট ২০৩০ সাল নাগাদ চালু হতে পারে, জানিয়েছেন এক চৈনিক বিশেষজ্ঞ।
৯ জুলাই, সোমবার এসব তথ্য জানিয়েছেন চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কর্মকর্তা লং লেহাও। খবর ডেইলি মেইল।
চীনের ওই বড় রকেটকে লং মার্চ-৯ রকেট বলা হচ্ছে। এই রকেটটি লো-আর্থ অরবিটে (যেখানে সব টিভি স্যাটেলাইট এবং আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট ওড়ে) ১৪০ টন ওজনের মালামাল নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। বর্তমানে এত বেশি ধারণক্ষমতার রকেট নেই। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশযান প্রস্তুতকারক কোম্পানি স্পেসএক্সের ফ্যালকন হেভি রকেট ৬৪ টন ওজন নিতে পারে, ইউরোপের অ্যারিয়েন ৫ রকেট নিতে পারে ২০ টন। এমনকি ২০২০ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসা ১৩০ টন ধারণক্ষমতার যে রকেট তৈরির পরিকল্পনা করছে তাকেও ছাড়িয়ে যাবে চীনের রকেট।
চীণের এই রকেটের ভেতরের ব্যাস হবে ৩৩ ফুট এবং এতে থাকবে চারটি শক্তিশালী বুস্টার। চীনের সংবাদমাধ্যম জিনহুয়া জানিয়েছেন, চাঁদে অবতরণ, দূর মহাকাশে ভ্রমণ এবং মহাকাশে অবস্থিত সৌরশক্তি উৎপাদন কেন্দ্র তৈরিতে এই রকেট ব্যবহার হতে পারে।
শুধু তাই নয়, ২০২১ সাল নাগাদ একটি পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেটও তৈরি করার চিন্তা করছে চীন। এই রকেটের প্রথম অংশ এবং বুস্টার রকেটগুলো উৎক্ষেপণের পর পৃথিবীতে ফিরে আসবে।
এ বছরের শুরুর দিকে জানা গিয়েছিল, এমন রকেট এঞ্জিনের নমুনা তৈরি করছে চীন। তবে বড় আকারের রকেট পরীক্ষার ব্যবস্থা চীনে নেই। তারা সম্ভবত ছোট করে এঞ্জিন তৈরি করে তা পরীক্ষা করবে।
চীনের সামরিক বাহিনীর পরিচালিত স্পেস প্রোগ্রামে প্রচুর টাকা ঢালছে দেশটি। তারা ২০২২ সাল নাগাদ মানুষচালিত স্পেস স্টেশন তৈরির আশা করে। আর ভবিষ্যতে তারা চাঁদেও মানুষ পাঠানোর কথা ভাবছে। এমনকি চাঁদে মানুষের বসতি তৈরিও রয়েছে তাদের পরিকল্পনায়।