বিয়ের কাবিন রেজিস্ট্রির পূর্বে বর ও কনের থ্যালাসেমিয়া ও মাদকের অস্তিত্ব সম্পর্কে মেডিকেল সার্টিফিকেট দাখিল করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে।
৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট সৈয়দা শাহীন আরা লাইলীর পক্ষে রিট আবেদনটি করেন একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও সংশ্লিষ্টদের।
সংবিধানের ২১ ও ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নাগরিক জীবন রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে গ্রহণ করার কথাও রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংবিধানের ২১ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সংবিধান ও আইন মান্য করা, শৃঙ্খলা রক্ষা করা, নাগরিক দায়িত্ব পালন করা এবং জাতীয় সম্পত্তি রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য।
সংবিধানের ২১ (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।
এবং সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনানুযায়ী ব্যতিত জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হইতে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাইবে না।
থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত কোনো পুরুষের সঙ্গে এই রোগে আক্রান্ত কোনো নারীর বিয়ে হলে অনাগত সন্তান বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রিট পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে মাদকসেবীদের সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। এর মধ্যে ৬৫ ভাগ তরুণ।
পিটিশনে বলা হয়, মাদকাসক্ত বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ। বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের সালিশি পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, নারীদের অভিযোগের কারণ হচ্ছে বিবাহের অক্ষমতা (পুরুষত্ব হীনতা)। হিরোইন, ইয়াবা অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন মাদক সেবনে বিবাহের সক্ষমতা (পুরুষত্ব) পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়।
এ ছাড়া বিদ্যমান নিকাহনামার ৩ ও ৪ নং দফায় বর ও কনের জন্ম সনদের পাশাপাশি ১৭ নং দফায় ডাক্তারি সনদ (ডোপ টেস্ট সার্টিফিকেট) বাধ্যতামূলক হলে নব দম্পতির ভবিষৎ সংসার এবং অনাগত সন্তানের জীবন রক্ষা পাবে বলেও রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
একলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া রিট দায়ের পর প্রিয়.কমকে বলেন, ‘জনস্বার্থে আমরা রিট আবেদনটি দাখিল করেছি। বিচারপতি আশফাকুল কামালের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানি করা হবে।’