সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ…বাংলাদেশ ক্রিকেটের সোনালি প্রজন্মের চার প্রতিনিধি। চারজনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটিয়ে দিয়েছেন ১২-১৩ বছর। অথচ তাঁরা থাকতেই টেস্ট ইতিহাসে নিজেদের সর্বনিম্ন রানে (৪৩) অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। তাঁরা থাকতেই অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। সাকিবদের এই বিবর্ণ পারফরম্যান্সে বেশ অবাক হয়েছেন ক্লাইভ লয়েড।
লয়েডের স্মৃতিতে ভেসে আসছে ২০০৯। সেবার ক্যারিবীয় সফরে টেস্ট ও ওয়ানডে দুই সংস্করণেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। যদিও বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলা পাকিয়ে ক্রিস গেইলের মতো প্রথম সারির ক্রিকেটাররা তখন খেলেননি বাংলাদেশের বিপক্ষে। রেকর্ড-পরিসংখ্যান কি আর তা মনে রাখে? নয় বছর পরেও তাই রেকর্ড বাংলাদেশের পক্ষেই কথা বলছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি অধিনায়ক লয়েডের বেশ মনে আছে সেই ধবলধোলাইয়ের কথা। মনে আছে বলেই ভেবেছিলেন এবারও বাংলাদেশ ভালো কিছু করে দেখাবে।
অ্যান্টিগা টেস্টে সাকিবদের পারফরম্যান্স দেখে তাই অবাকই হয়েছেন লয়েড। ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই অধিনায়ক ক্রিকইনফোকে বলেছেন, ‘যতটা আশা করেছিলাম, বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স দেখে অবাকই হয়েছি। বাংলাদেশ আগেরবার যখন (২০০৯) আমাদের হারাল, তখন খুব ভালো খেলেছিল। এখন (কেন এমন হলো) জানি না।’
তবে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের পারফরম্যান্সে খুশিই হয়েছেন লয়েড। তাঁর আশা, ক্যারিবীয়রা সামনে আরও দুর্দান্ত খেলবে, ‘এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের দারুণ কিছু ক্রিকেটার আছে। আশা করি ভবিষ্যতে ওরা আরও ভালো খেলবে।’ লয়েড প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অ্যান্টিগা টেস্টে সেঞ্চুরি করা ক্রেইগ ব্র্যাফেট ও ম্যাচসেরা কেমার রোচকে, ‘ওরা দুজনই অনেক দিন ধরে খেলছে। ভালো খেলেছে। বিশেষ করে রোচ। জানি না ও কত দিন খেলবে। তবে নিজের কাজটা সে দারুণভাবে করেছে।’