দিনের পর দিন বাবার হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়া এমন কী বাবার ধর্ষণেই প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন এক নারী। ঘটনায় ক্ষেপে গিয়ে পরে বাবাকেই খুন করেছেন তিনি।
সম্প্রতি আদালতে দাঁড়িয়ে এমনই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বারবারা কুম্বস নামের এক নারী।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ম্যানচেস্টারে এ ঘটনা ঘটেছে।
বাবাকে হত্যার ১২ বছর পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ৫১ বছর বয়সী বারবারা কুম্বস জানান, বাবার বাড়ির বাগানে কাজ করতে গিয়ে একদিন বাগানের পাশের স্টোর রুমে ঢোকেন তিনি। ওই কক্ষে একটি কাঠের বাক্স দেখতে পান এবং সেটি খোলেন। বাক্সের ভেতরে ছিল অসংখ্য শিশুপর্নোগ্রাফির ছবি। এমন কী বারবারা কুম্বসের ছোট বেলারও অনেক আপত্তিকর ছবিও ছিল।
ওই ঘটনায় বারবারা কুম্বসের মনে পড়ে, ছোটবেলায় তিনি নিজেই কীভাবে দিনের পর দিন বাবার হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বাবার ধর্ষণের কারণেই তিনি প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। পরে অবশ্য সন্তানটি মারা যায়। তারপরও রেহায় মেলেনি বাবার হাত থেকে। নিজের মেয়ে বারবারা কুম্বসকেই ধর্ষণ করতে থাকেন তার বাবা।
এসব ঘটনার দীর্ঘদিন পর এক সময় হঠাৎ প্রচণ্ড রাগ ও ঘৃণায় বারবারা কুম্বসের মাথায় রক্ত চড়ে যায়। বারবারা ছুটে যান বাগানে। সেখানে গিয়েই বাগানে পড়ে থাকা বেলচা নিয়ে আঘাত করেন বাবা কেনেথ কুম্বসের (৮৭) মাথায়। ঘটনাস্থলে নিহত হন কেনেথ কুম্বস। পরে মৃতদেহটি বাগানেই লুকিয়ে রাখেন তিনি। পরে আত্মীয়দের জানান, হৃদরোগে কেনেথের মৃত্যু হয়েছে এবং হাসপাতালই তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
কিন্তু দীর্ঘ মানসিক যন্ত্রণায় ঘটনার ১২ বছর পর বারবারা নিজেই পুলিশের কাছে সব খুলে বলেন এবং আদালতে গিয়ে বাবাকে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আদালতের নির্দেশে বারবারার মানসিক পরীক্ষা করা হলে ওই রিপোর্টে দেখা যায়, দীর্ঘ মানসিক যন্ত্রণা ও মারাত্মক মানসিক চাপ থেকেই এই কাজ করেছেন বারবারা।