ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। ফুটবলের অনেক ভাঙ্গা-গড়ার ইতিহাস রয়েছে ভাইকিংসদের। তবে রিয়ালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যুগের অবসানের ফলে নতুন একটি রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে লস ব্লাঙ্কোজরা। ১৮ বছর পর প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার ছাড়া মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছে গ্যালাক্টিকোরা।
এদিকে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় এখন এ পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। খুব শিগগিরই সাদা-কালো জার্সিতে দেখা যাবে সিআরসেভেনকে।
উল্লেখ্য, রিয়ালের হয়ে প্রথম ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার লুইস ফিগো। ৬১ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তাকে কিনে নেয় রিয়াল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বল পেয়েই নিজের ‘ম্যাজিক’ পুরোটাই দেখান এ পর্তুগিজ কিংবদন্তি।
লুইস ফিগোর পর ২০০১-০২ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ব্যালন ডি’অর জয়ের স্বাদ পান ফরাসি তারকা জিনেদিন জিদানও। জিদানের এ প্রাপ্তির পর সব মৌসুমেই তাদের স্কোয়াডে কোনো-না-কোনো ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার ছিলেন।
২০০৩-০৪ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের দলে একই সঙ্গে খেলেছেন তিন তারকা ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা- ফিগো, জিদান ও রোনালদো। এ তালিকাটা দীর্ঘ হয় মাইকেল ওয়েন, ফ্যাবিও ক্যানাভারো এবং রিকার্ডো কাকাকে দিয়ে।
গত এক দশক সিআর সেভেন একাই ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের দৌড়ে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দুই বছর আগে অবশ্য ব্যালন ডি’অরের সঙ্গে ফিফা সম্পর্ক ছিন্ন করে। যেখানে ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কারের নাম ‘দ্য বেস্ট’ রাখা হয়। আর ফ্রেঞ্চ ম্যাগাজিন নিজেদের মতো করে ব্যালন ডি’অর দিতে থাকে। কিন্তু রোনালদোর দাপট ছিলো দুই জায়গাতেই। টানা দুইবার দুটি পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
রোনালদোর রিয়াল ছাড়ার আগেই কোচের দায়িত্ব ছাড়েন জিদান। তাদের বিদায়ের পর নতুন যুগে প্রবেশ করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যে দলে কোনো ব্যালন ডি’অরজয়ী ফুটবলার নেই। বিগত ১৮ বছরের মধ্যে এ প্রথম ব্যালন ডি’অর বিহীন রিয়াল মাদ্রিদ দেখতে পাচ্ছে সমর্থকরা।
রিয়ালের এ শূন্যতা অবশ্য পূরণ হবে ডিসেম্বরে। কারণ এবারের ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে আছেন বিশ্বকাপজয়ী ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারান ও বিশ্বকাপের রানার-আপ দলে লুকা মদ্রিচ।