আগামী ১১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন তেহরিক-ই-ইনসাফ(পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা ভাবছে পিটিআই।
দলটির এক নেতা ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মোদিসহ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার(সার্ক) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানোর কথা ভাবছে পিটিআই’র কোর-কমিটি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে জয়লাভের পর ইমরান খানকে ফোন করেন মোদি। এটি ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় শুরুর ইঙ্গিত।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মোদিকে আমন্ত্রণের বিষয়টি নাকচ করেননি পিটিআই’র মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরিও। তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে বিদেশি মন্ত্রীদের সঙ্গে পরামর্শের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
গতকাল ইমরান খানকে ফোন করে ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তার দল জয়লাভ করায় তাকে অভিনন্দন জানান মোদি। তিনি আশা জানান, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন অধ্যায় খুলতে পাকিস্তান ও ভারত একসঙ্গে কাজ করবে।
এসময় মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইমরান খান বলেন, আলোচনার মাধ্যমেই বিরোধ মিটিয়ে ফেলা উচিত। বিরোধ না মিটিয়ে যুদ্ধ ও রক্তপাত করলে তা শোক বয়ে আনবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই সাধারণ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৩৭ আসন পেতে ব্যর্থ হয় পিটিআই। তাই সরকার গঠনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোট বাধার চেষ্টা করছে ইমরানের দল।
ইতোমধ্যে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (জিডিএ), পিএমএল-কায়েদ (পিএমএল-কিউ), বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছে পিটিআই নেতৃত্ব।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) একটি ‘সমন্বিত যৌথ কৌশল’ গঠনের ব্যাপারে একমত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পার্লামেন্টে পিটিআইকে কোণঠাসা করতেই এই কৌশলগত জোট বেঁধেছে দুই দল।
রেকর্ড সংখ্যক নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণে এবারের নির্বাচনে পিটিআই ১১৫টি, পিএমএল-এন ৬২টি, পিপিপি ৪৩টি আসন পেয়েছে।