দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জাবালে নূরের নিবন্ধন বাতিল করেছে বিআরটিএ। বুধবার (১ আগস্ট) এই নিবন্ধন বাতিল করা হয়।২৯ জুলাই, রোববার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আব্দুল করিম সজীব ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন আরও ৮-১০ জন শিক্ষার্থী।
এদিকে দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১ আগস্ট) থেকে সকাল থেকেই ইউনিফর্ম গায়ে ক্লাস বর্জন করে তারা মূল সড়কগুলোতে জড়ো হতে থাকে।
এদিকে উত্তরার হাউজ বিল্ডিং, যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তাসহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। এ সময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে হাতে হাতে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে আন্দোলন করে তারা। সহপাঠীদের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত চালক ও হেল্পারের যথোপযুক্ত শাস্তিসহ রাজধানীর সমস্ত চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও দক্ষতা নিয়ে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানানো হয় আন্দোলন থেকে। শান্তিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান তারা। তবে সুস্পষ্ট কোন আশ্বাস ছাড়া রাজপথ না ছাড়ার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের চাপা দেওয়া বাস জাবালে নূরের (ঢাকা মেট্রো ব-১১৯২৯৭) পরিচালক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের শ্যালক মো. নান্নু মিয়া (৫০)। একই সঙ্গে তিনি মন্ত্রীর খালাতো ভাইও। থাকেন রাজধানীর বনশ্রী এলাকায়। জাবালে নূর পরিবহনের সঙ্গে মাহমুদ হোসেন নামে নৌ-পরিবহনমন্ত্রীর আরেক আত্মীয়ও জড়িত আছেন বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনার পরপরই দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকরা নৌ-পরিবহনমন্ত্রীকে বলেন, চালকদের স্বেচ্ছাচারিতায় সড়কে নিয়মিত প্রাণ ঝরছে। এর জবাবে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘যে অপরাধ করবে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। এই শাস্তি নিয়ে বিরোধিতা করার কারও কোনও সুযোগ নেই।’ এ সময় মন্ত্রীর হাস্যজ্জল চেহারা জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) জাতির কাছে ক্ষমা চান নৌ-পরিবহনমন্ত্রী।