ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রীর থেকে আলাদা থাকছেন এমনটা জানার পর তার জন্য পাত্রী খোঁজার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন গণমাধ্যম পলিটিকোর বরাত দিয়ে এমন খবর ছেপেছে এনডিটিভি।
পলিটিকোর ওই প্রতিবেদনে টেলিফোনে কথোপকথনের শিষ্টাচারসহ বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের ‘কূটনীতিক ভুল’, ‘অশুদ্ধ উচ্চারণ’ এবং ‘অপ্রস্তুত বৈঠক’-এর বিস্তারিত একটি তালিকা তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে নিজের অনভিজ্ঞতারও প্রমাণ দিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানে বলা হয়, গেল বছর হোয়াইট হাউজে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে দক্ষিণ এশিয়ার একটি মানচিত্র পর্যবেক্ষণ করেছেন। সেখানে তিনি নেপালকে ‘নিপল’ এবং ভুটানকে ‘বাটন’ বলে উচ্চারণ করেছেন বলে জানাচ্ছে পলিটিকো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে পলিটিকো আরও জানায়, ভারতের সঙ্গে লাগোয়া এই দেশদুটির অস্তিত্ব নিয়েও দ্বিধান্বিত দেখায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে। একটি সূত্র জানায়, দেশ দুটি নিয়ে দ্বিধান্বিত হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন দেশ দুটি ভারতের অংশ। তার অবস্থা হয়েছিল, ভারতের মাঝে এগুলো এবং অন্যান্য দেশগুলো কী?
হোয়াইট হাউজের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি স্ত্রীকে নিয়ে যাবেন না কর্মকর্তাদের কাছে এমন তথ্য শোনার পর ট্রাম্প নাকি বলেছিলেন, আমি তার সঙ্গে কারও সাক্ষাৎ করিয়ে দিতে পারি।
এদিকে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ হুকাবে স্যান্ডার্স বলেছেন, ট্রাম্প ‘যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্রর’ সঙ্গে ‘গভীর সম্পর্ক’ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে, এর ফলেই এই ‘অকপট আলোচনা’ সম্ভব হয়েছে।
কিশোর বয়সেই বিয়ে হয়েছিল মোদির। পরে তিনি গ্রাম ও স্ত্রীকে ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। কিন্তু তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। এমনকি ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রিত্বের জন্য প্রার্থিতা ঘোষণার আগ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের স্ত্রীর অস্তিত্বও স্বীকার করেননি মোদি।
উল্লেখ্য, ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে সেনাবাহিনীর প্যারেডে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মোদি। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই দাওয়াত গ্রহণ করেছেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি।