২০১৭ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে ২০ কোটি ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৬ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৯ টাকা।
২০১৬ সালে দলটির আয় ছিল ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭ টাকা এবং ব্যয় ছিল ৩ কোটি ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৯ টাকা।
বছর ব্যবধানে দলটির আয় বেড়েছে ১৫ কোটি ৪০ লাখ ৬২ হাজার ৩৩৯ টাকা এবং ব্যয় বেড়েছে ১০ কোটি ৬১ লাখ ৬৩ হাজার ৫২০ টাকা।
মঙ্গলবার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে দলের বার্ষিক হিসাব জমা দেয়ার পর দলটির দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গোলাপ বলেন, আয়ের প্রধান উৎসের মধ্যে রয়েছে- দলের নতুন ভবন নির্মাণে অনুদান, দলের সদস্যদের কাছ থেকে বার্ষিক চাঁদা, ব্যাংকের টাকা থেকে লাভ ইত্যাদি। আর ব্যয়ের প্রধান খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে- দলের ভবন নির্মাণ, কর্মচারীদের বেতন-বোনাস, আপ্যায়ন, সভা-সেমিনার, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি।
ইসির তথ্যানুযায়ী, ২০১৫ সালে দলটির আয় হয়েছিল ৭ কোটি ১১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৫ টাকা। আর ব্যয় ছিল ৩ কোটি ৭২ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৯ টাকা। অর্থাৎ সে সময় দলটি প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা আয় বেশি হয়েছিল।
২০১৪ সালে দলটি আয় দেখিয়েছিল ৯ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৩ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ৮২১ টাকা। এতে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল আওয়ামী লীগের।
সংসদে বিরোধী দলে থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) আয়ও বেড়েছে। ২০১৭ সালে দলটি আয় করেছে ১ কোটি ৮ লাখ ৫৫ হাজার ২৪০ টাকা। এ সময় দলটি ব্যয় করেছে ১ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ টাকা। অর্থাৎ দলটির এক লাখ টাকারও বেশি উদ্বৃত্ত রয়েছে।
২০১৬ সালে জাপার আয় ছিল ৭৩ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা। এর বিপরীতে ব্যয় হয় ১ কোটি ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৩০৩ টাকা। ব্যয় বেশি হয়েছে ৩২ লাখ ২২ হাজার ৮০৩ টাকা। ২০১৫ সালে দলটির ৯৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় হয় ১ কোটি ৪৯ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪৩ টাকা।
এছাড়া ২০১৭ সালে বিএনপির মোট আয় হয়েছে ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা। মোট ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা। অর্থাৎ দলটির হাতে ৫ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা রয়েছে।
২০১৬ সালে দলটির আয় হয়েছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫২ টাকা। আয় বেশি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ টাকা। ২০১৫ সালে বিএনপির আয় ছিল ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ টাকা। ব্যয় ছিল ১ কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ টাকা। ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা ঘাটতি ছিল।