চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের শুরুতেই রপ্তানি আয়ে সুখবর। এ অর্থবছরের প্রথম মাসে ৩৫৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি।
প্রবাসী আয়ে সুখবর আসার পর রপ্তানি আয়েও এ সুখবর আসলো।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এর রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার সংস্থাটি এ তথ্য প্রকাশ করে।
ইপিবির তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৩৫৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার আয় করেছে। গত বছরের একই মাস থেকে যা ১৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম মাসে ২৯৮ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
জুলাই মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। এই মাসে লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৩৩৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ২৫ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে।
অর্থাৎ ৩৫৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের মধ্যে ৩০১ কোটি ৭৭ লাখ ডলারই এ খাত থেকে এসেছে। এর মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ১৫২ কোটি ৭১ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
উভেন পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১৪৯ কোটি ডলার; প্রবৃদ্ধি ২২ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
অন্যান্য পণ্যের মধ্যে জুলাইয়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৫ শতাংশ। স্পেশালাইজড টেক্সটাইল রপ্তানি বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। হোম টেক্সটাইল বেড়েছে ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। ওষুধ রপ্তানি বেড়েছে ২২ শতাংশ। হস্তশিল্প থেকে আয় বেড়েছে ১১ শতাংশ।
এছাড়া প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি ১৩ শতাংশ, তামাক ৯৭ শতাংশ, শাকসবজি ৪৭ শতাংশ এবং শুকনো খাবার রপ্তানি ১৩৪ শতাংশ বেড়েছে।
তবে হিমায়িত মাছ রপ্তানি ৩১ শতাংশ কমেছে। চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি কমেছে ২২ শতাংশ। চা রপ্তানি কমেছে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকা এবং পোশাক কারখানার পরিবেশ ভালো হওয়ায় এ খাতের প্রভাব পড়ছে পুরো রপ্তানি খাতে। মূলত এ কারণে বিদেশিদের আগ্রহ ও ক্রয়াদেশ বাড়ছে।
শুরুর মত শেষটা ভালো হওয়ার আশা করছেন তারা।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে রেমিটেন্সের সুখবর দিয়েছিল। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেখা যায় ১৩১ কোটি ৭০ লাখ (১.৩১ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত বছরের একই মাসের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি।