‘চুমুবাবা’ সেজে ভালোই চালাচ্ছিলেন তিনি। জড়িয়ে ধরে তিনি চুমু খেলেই রোগমুক্তি। তাঁর এই প্রচারণায় প্রলুব্ধ হয়ে প্রতারিত হয়েছে অনেকে। অনেক নারীর হয়েছে সর্বনাশ। গতকাল বুধবার প্রতারণার অভিযোগে এই ভণ্ড সাধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বন্ধ করে দিয়েছে তাঁর আস্তানা।
সাধু সাজা এই ব্যক্তির আসল নাম রামপ্রসাদ চৌহান। ভারতে আসারাম বাপু, গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের মতো তিনিও আরেক স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরু। নারীদের সঙ্গে প্রতারণা করা ছিল তাঁর প্রধান কাজ।
আসামের মরিগাঁও জেলার ভোরালতুপ গ্রামে রীতিমতো আশ্রম খুলে বসেছিলেন এই প্রতারক সাধু। ছেলেকে সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন তাঁর মা।
স্থানীয় লোকজনের তথ্যের বরাতে আসামের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, গ্রামের সহজ-সরল মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে নিজের যৌন লালসা মেটাতেন এই গুরু। নারীরাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।
পুলিশ জানায়, নারীরা তাঁর কাছে সরল বিশ্বাস নিয়ে এলে তাঁদের চুমু খেতেন এই প্রতারক। তারপর জড়িয়ে ধরতেন। তাঁর আরও কিছু অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। সাধারণ মানুষের কাছে এই প্রতারক দাবি করতেন, তিনি নাকি ভগবান বিষ্ণুর অবতার। তাঁর সঙ্গলাভেই মুক্তি মিলবে শারীরিক, মানসিক, পারিবারিক কিংবা বৈষয়িক সমস্যার।
রামপ্রসাদ চৌহানের বিরুদ্ধে প্রতারণার পাশাপাশি যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। জানা গেছে, মাত্র তিন মাসেই নিজের প্রতারণার জাল বিস্তার করতে সক্ষম হন তিনি।
এর আগে হায়দরাবাদেও এক ‘চুমুবাবার’ কীর্তি ফাঁস হয়।