দলীয় অভ্যুত্থানে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়েছেন। নেতৃত্বের এক কঠিন প্রতিযোগিতায় তিনি টিকে থাকতে পারলেন না। দলের ভিতরে বিদ্রোহের জেরে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুক্রবার শপথ নিয়েছেন স্কট মরিসন। দুর্বল নির্বাচনী ব্যবস্থা, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ম্যালকম টার্নবুল ছিলেন খুব চাপে। অন্যদিকে রক্ষণশীল এমপিদের মধ্যে দেখা দিয়েছিল বিদ্রোহ।ফলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায়ই মুখোমুখি হননি ম্যালকম। নেতৃত্ব নিয়ে দলের ভিতরে নির্বাচন হয়েছে। তাতে অর্থমন্ত্রী স্কট মরিসন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী পিটার ডাটনকে ৪৫-৪০ ভোটে পরাজিত করে নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। লিবারেল পার্টির হুইপ নোলা মারিনো এ কথা জানিয়েছেন। ম্যালকম টার্নবুলের ওপর পদত্যাগের তীব্র চাপ সৃষ্টি করেন সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপিরা। তারপর নতুন নেতা নির্বাচনের জন্য তারা একটি চিঠি পাঠান তার কাছে। ফলে দলীয় এই নির্বাচন দিতে বাধ্য হন ম্যালকম। সেই নির্বাচনে স্কট মরিসন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি হলেন অস্ট্রেলিয়ার ৩০তম প্রধানমন্ত্রী। তিনি টুরিজম অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ ছাড়া তিনি অভিবাসন ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক মন্ত্রী জুলি বিশপ নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। কিন্তু চূড়ান্ত দফায় তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন না। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি লিখেছে, শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে নাটকীয়তার অন্যতম একটি অধ্যায় রচিত হয়।
ম্যালকম টার্নবুলকে ক্ষমতাচ্যুত করার নেপথ্য কুশিলব হিসেবে মনে করা হয় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ডাটনকে। তিনি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও ডানপন্থি বলে পরিচিত। তিনি অধিকতর উদার নীতিকে সামনে এনে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টিতে ম্যালকমের বিরুদ্ধে ঝড় তোলেন। এ নিয়ে ক্যানবেরায় রাজনৈতিক উত্তেজনায় সপ্তাহ পাড় হয়। তারই ফসল ঘরে তোলেন স্কট মরিসন। উচ্চাকাঙ্খী অনেক রাজনৈতিক সহচরকে পিছনে যেন ছুরিকাঘাত করে তিনিই সামনে চলে গেলেন।