রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার দাবি অস্ট্রেলিয়ার

রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এবং অপরাধীদের বিচার করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি মিয়ানমারের কমিশন অব ইনকুয়ারি গঠনকে স্বাগত জানানো হয়েছে। এই কমিশনের উচিত কর্তৃপক্ষকে নির্যাতনের বিষয়ে ব্যাপকভিত্তিক তথ্য সরবরাহ করা।  সোমবার অস্ট্রেলিয়া সরকার এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যেকোনো নির্যাতনের বিষয়ে তথ্য প্রমাণের জন্য জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের সঙ্গে মিয়ানামারের যুক্ত হওয়াকে আমরা উৎসাহিত করি।
যারা মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়েছেন, দুর্ভোগে পড়েছেন তাদের ন্যায়বিচারের জন্য বার বার আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অপরাধীদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।এ জন্যই জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন ও এর নিরপেক্ষ তদন্তকে সমর্থন করে অস্ট্রেলিয়া। সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের যখন এ বিষয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়া হবে তখন আমরা আমাদের প্রতিক্রিয়া দেব।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের দুটি এজেন্সি ইউএনডিপি এবং ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে মিয়ানমার সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করেছে কিছুদিন আগে। এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার মতো উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা। এ পদক্ষেপকে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়। এ উদ্যোগকে পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের এজেন্সিগুলোকে পূর্ণাঙ্গ সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ঢাকায় অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, জাতিসংঘের প্রয়াত মহাসচিব কফি আনানের এডভাইজরি কমিশন অন রাখাইন স্টেটে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে নতুন করে তা বাস্তবায়নে আসুন আমরা প্রচেষ্টা চালাই এবং এর মধ্যদিয়ে প্রয়াত কফি আনানকে সম্মানিত করি।

রাখাইনে নৃশংসতা শুরু হয় গত বছর ২৫শে আগস্ট। তারপর এক বছর কেটেছে। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকার বলেছে, রোহিঙ্গা সঙ্কট হলো আমাদের এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় (ইমার্জেন্সি)। এতে ৯ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছেন। আরো ৫ লাখ ৩০ হাজার রয়ে গেছেন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে।

অনেক নারী ও ছেলেমেয়ে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যৌন নির্যাতন থেকে তারা বেঁচে আছেন। অনেকে লিঙ্গগত সহিংসতার শিকার হয়েছেন। তারা বেশির ভাগই পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সহায়তা ছাড়া তাদের সবচেয়ে মৌলিক মানবিক চাহিদা মেটানোর কোনো উপায় নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *