‘আমাকে প্রায় চার মাস সময় নিতে হবে’

জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হয়েছে এই অভিনেতার একাধিক নাটক। এরমধ্যে তার অভিনীত ‘রং বদল’, ‘লালাই’, ‘শোক হোক শক্তি’, ‘ছেলেরাও কাঁদে’ ও ‘বৃষ্টি ভেজার দিন’সহ বেশ কিছু নাটকের জন্য দর্শকের কাছ থেকে সাড়া পেয়েছেন বলে জানান তিনি। ঈদে এবার কতগুলো নাটক প্রচার হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন চ্যানেল মিলিয়ে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০টি। তবে এর কয়েকটি নাটক রোজার ঈদের আগে করা হয়েছে। নাটকের সংখ্যা বেশি হলেও প্রতিটি নাটকের গল্প ও আমার চরিত্রে ভিন্নতা রয়েছে।আমি কখনোই প্রচলিত নায়ক হতে চাই না। তাই বিভিন্ন ধারার গল্পে অভিনয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। ঈদে গতানুগতিক প্রেমের গল্পের নাটকের বাইরে বেশ কিছু ভিন্ন ধারার গল্পে কাজ করেছি। তার মধ্যে ‘লালাই’ নাটকের গল্পটি বলতে পারি। এটি একটি গরুর সঙ্গে একজন রাখালের আবেগ-ভালোবাসার গল্পের নাটক। এবার ঈদের নাটকগুলোর মান কেমন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অনেকেই হতাশার কথা বলছেন। সিনিয়রদের কেউ কেউ বলছেন আগের মতো এখন আর নাটক হচ্ছে না। আমি এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি। আগে আমাদের ফ্যামিলি ড্রামা বেশি নির্মাণ হতো। এখন এটির বাইরে নানা রকম গল্পের নাটক নির্মাণ হচ্ছে। টেকনিক্যালিও অনেক উন্নত হয়েছে। নতুন অনেক নির্মাতাই ভালো কাজ করছেন। আগামীতে আমাদের নাটকের মান আরো ভালো হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ভার্সেটাইল এই অভিনেতা এখনো ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন। ব্যাক ইনজুরির কারণে আরো এক সপ্তাহ বিশ্রামে থাকবেন বলে জানান তিনি। যার কারণে এবারের ঈদটা ভালো কাটেনি তার। কাজে ফিরে আবারো একক-খ- নাটকের পাশাপাশি ধারাবাহিক নাটকে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন তিনি। তার হাতে রয়েছে হিমেল আশরাফের ‘এক লক্ষ লাইক’, ইমরাউল রাফাতের ‘সিনেম্যাটিক’, সুমন আনোয়ারের ‘সুখী মীরগঞ্জ’ ও ‘ইডিয়ট’, সাজ্জাদ সুমনের ‘ছলে বলে কৌশলে’, আরবি প্রিতমের ‘সেমি কর্পোরেট’ শীর্ষক ধারাবাহিকগুলো। এদিকে চলতি বছরের শেষের দিকে ছোট পর্দার এই অভিনেতাকে বড় পর্দায় দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, একটি চলচ্চিত্রের বিষয়ে এরইমধ্যে আলোচনা হয়েছে। এটি নির্মাণ করবেন গোলাম সোহরাব দোদুল। এই ছবিতে আমি যে চরিত্রে অভিনয় করবো সেটির প্রস্তুতির জন্য আমাকে প্রায় চার মাস সময় নিতে হবে। ছবিটির বিষয়ে সব কিছু চূড়ান্ত হলে আমি নিজেই সবাইকে জানাবো। চলচ্চিত্রে নিজেকে কিভাবে দেখতে চান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছোট পর্দার অভিনেতাকে দর্শক কেন বড় পর্দায় দেখবে? যদি সেটিতে নতুন কিছু অথবা চমক না থাকে। সত্যি বলতে, আমি নিজেকে বড় পর্দায় ভাঙ্গতে চাই। কারণ, আমি কখনো একটি নিদিষ্ট সীমানার মধ্যে থাকতে চাই না। আলাপনে নিশোর সঙ্গে এই সময়ের তারকাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সক্রিয় থাকার বিষয়টি নিয়েও কথা হয়। ফেসবুকে ফ্যান-ফলোয়ার একজন শিল্পীর জনপ্রিয়তার মাপকাঠি হতে পারে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমাদের অনেক লিজেন্ড আছেন তারা ফেসবুকে নেই। তাই বলে কি তারা জনপ্রিয় নন? আমাদের প্রয়াত অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি আজো দর্শকর কাছে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে আছেন। ফেসবুকে এই সময়ের অনেক শিল্পীর লক্ষাধিক ফ্যান-ফলোয়ার আছে। কিন্তু আবার তাদের হাতে কাজ নেই। তাহলে এই ফ্যান-ফলোয়ার রেখে কি লাভ? তবে এটি অস্বীকার করার কিছু নেই, এই সময়ে একটি ভালো কাজের প্রচার-প্রচারণার জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক দারুণ ভূমিকা পালন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *