ভোট দিলে দেবে না দিলে নাই, কিছু আসে যায় না: প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচন স্বচ্ছ করার জন্য যা যা করার প্রয়োজন সবই কিন্তু আমরাই করেছি। মানুষের ভোটের অধিকারটা মানুষের হাতে থাকুক। কাজ করেছি মানুষের জন্য। ভোট দিলে দেবে, না দিলে নাই। আমার তাতে কিছু আসে যায় না। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে নেপালে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন সময়মতোই হবে। নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না। নির্বাচন ঠেকানোর জন্য কারো কোনও শক্তি নাই। জোটবদ্ধ নির্বাচন করবে আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগনের আস্থা আছে নৌকার ওপর। তারা আবার নৌকায় ভোট দিবে। জনগণ ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলা করতে পারবে। ১০ বছর ধরে ক্ষমতা থাকার উন্নয়ন দৃশ্যমান, জনগণ সুফল ভোগ করছে। আমরা পারি তা দেখিয়ে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাড়াহুড়া করে ইভিএম চাপিয়ে দেয়া যাবে না। এটা অনুশীলনের ব্যাপার। বিএনপি ভোটে কারচুপি করতে পারবে না বলেই তারা এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা ছাড়া কোনও দেশ এগুতে পারে না। ২১০০ সালের পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে দেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে মারা গেলো। আমি তার ওখানে গেলাম। কিন্তু আমার মুখের ওপর দরজা লাগিয়ে দিল। সেই দিন থেকেই তো সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাদের সঙ্গে আমি আর কোনও আলোচনা করব না। আমাকে অপমান করেছে, মনে রাখতে হবে আমারও আত্মসম্মানবোধ আছে। তিনি তো আমাকে অপমান করেছেন। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সাথে আলোচনা নয়। যে যা বলুক তাদের সঙ্গে আমি আর আলোচনা করব না। আমি থাকি বা না থাকি।
বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার হননি। তিনি দুর্নীতির জন্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ মামলা আমাদের দেয়া নয়। এটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে করা হয়। বেগম জিয়ার মুক্তি আদালতের ওপর অথবা রাষ্ট্রপতি ক্ষমার ওপর নির্ভর করে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আমাদের বিরুদ্ধে প্রায় এক ডজন মামলা দিয়েছিল। আমার একটা মামলাও কিন্তু তোলে নাই। সবগুলো তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে বলে আমি বলেছিলাম। সেগুলো প্রমাণ করতে পারে নাই।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগের তুলনায় বিএনপি বেশি সুবিধা পেয়ে থাকে। বিএনপি তো গণমাধ্যমের খবরে অগ্রাধিকার পায়। তারা পার্লামেন্টে নাই, বৈধ বিরোধী দল না। আমাদের এখানে মিডিয়ার কাছে তারা অগ্রাধিকার পাচ্ছে। তারা পার্লামেন্টে নাই, বৈধ বিরোধী দল না। আমার জায়গা হয় তিন চার পাঁচে এসে ঠেকি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন আমাদের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে। সে অনুসারে তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার চাই না প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সংঘাত। ১১ লাখ রোহিঙ্গা এ দেশে আছে। আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। রোহিঙ্গাদের নেয়ার ব্যাপারে তাদের আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু তারা যা বলে তারা করে না। তাদের ফেরত নিতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
৩০ ও ৩১ আগস্ট নেপালের কাঠমান্ডুতে দুদিনের চতুর্থ বিমসটেক সম্মেলন হয়। এ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *