রাজধানীতে ১২১ বাস স্টপেজ, চালু হবে টিকিট সিস্টেম: আছাদুজ্জামান

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন- রাজধানীতে ১২১টি বাস স্টপেজ চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এর বাইরে কোথায়ও কোনও বাস থামবে না। এক স্ট্যান্ড থেকে আরেক স্ট্যান্ড যেতে গাড়ির দরজা খোলা যাবে না। একইভাবে যত্রতত্র যাত্রীরাও দাঁড়াতে পারবে না। পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। যাত্রীদের সুবিধার্থে টিকিট সিস্টেম চালু করা হবে।
মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কমিশনার বলেন- গাড়িতে ড্রাইভারের ছবি ও মোবাইল নম্বর টাঙাতে হবে। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলা যাবে না। সিট বেল্ট লাগাতে হবে। সকল বাসগুলোকে আগামীতে ঢাকায় ৬টি রুটে পরিচালনার জন্য কাজ চলছে। প্রজেক্টটি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দপ্তরে পাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
বাস মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাসচালকদের বেতনভুক্ত না করলে বাসের রুট পারমিট বাতিল করা হবে। যাচাই না করে ড্রাইভার নিয়োগ দেবেন না। লাইসেন্স চেক করবেন। নেশাগ্রস্ত কিনা তা খতিয়ে দেখবেন। চুক্তিতে গাড়ি দেবেন না। চুক্তিতে গাড়ি দিলে পাল্লা দিতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে।
জাহাঙ্গীর গেট থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত মডেল ট্র্যাফিক সিস্টেম চালু করা হবে। এই এক মাসে দৃশ্যমান অগ্রগতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্তত এই একটি সড়ককে সিস্টেমে আনা হবে। মডেল ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায় রূপান্তর করতে রোড ডিভাইডার সাড়ে ৪ ফুট থেকে ৫ ফুট উঁচু করা হবে, যাতে পথচারীরা কেউ টপকিয়ে যেতে না পারে। এটি বাস্তবায়ন হলে পর্যায়ক্রমে অন্য সড়কেও এই সিস্টেম ফলো করা হবে।
রাজধানীতে ডিএমপির মাসব্যাপী বিশেষ ট্র্যাফিক সচেতনতা কার্যক্রমের ঘোষণা দিয়ে কমিশনার বলেন, বর্তমানে সড়কের দুরাবস্থা দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার ফসল। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো ও ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায় যাতে পরিবর্তন আসে সেজন্য মাসব্যাপী কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। একদিনে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না, ধীরে ধীরে আসবে। মানুষের আইন না মানার প্রবণতা, অপ্রশস্ত সড়ক ও উন্নয়নের জন্য যত্রতত্র খোড়াখুড়ির কারণে ট্র্যাফিক সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটে।
কমিশনার বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্র্যাফিক পুলিশের পাশাপাশি রোভার স্কাউটসের ৩২২ জন সদস্য রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করবে। যত্রযত্র যাতে গাড়ি পার্কিং না হয় এবং সড়কে যাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসে সেজন্য বিশেষ অভিযান চলবে।
প্রাইভেট গাড়ি যারা চালান তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অবৈধভাবে যারা ফ্লাগ স্ট্যান্ড লাগিয়েছেন তারা খুলে ফেলেন। যারা অবৈধ হুটার ও বিকন লাইট ব্যবহার করেন তারাও যাতে এসব বাদ দেন। কোনও ব্যক্তি বা শ্রেণি পেশার মানুষকে বিশেষ বিবেচনায় নেয়া হবে না।
সড়কে দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য মানুষকে সচেতন করতে রাস্তায় রোভার স্কাউটরা বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়াবেন।
মোটরসাইকেল চালকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- যারা চালান ও যারা যাত্রী উভয়কেই হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। মোটরসাইকেলে তিনজন ওঠা যাবে না। এমনকি ঢাকা শহরের সকল পেট্রোল পাম্পগুলোকে বলে দেয়া হয়েছে, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল আরোহীদের জ্বালানি সরবরাহ না করতে। এরই মধ্যে সেটা শুরু হয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *