মিয়ানমারে দণ্ডিত দুই রয়টার্স সাংবাদিকের মুক্তির দাবি জানালেন তাদের স্ত্রীরা

মিয়ানমারে গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের মুক্তির দাবি জানালেন তাদের স্ত্রীরা। এছাড়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করবেন বলে জানান তারা। মঙ্গলবার ইয়াঙ্গুনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির তীব্র সমালোচনা করেন। খবর রয়টার্স, সিএনএন।
অং সান সু চিকে নিয়ে প্রকাশ্যে হতাশা ব্যক্ত করে রয়টার্স প্রতিবেদক ওয়া লোনের স্ত্রী প্যান ই মোন ইয়াঙ্গুনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি তাকে (সু চি) ভালোবাসতাম। তাকে খুবই সম্মান করতাম। কিন্তু তিনি বলেছেন, আমার স্বামী সাংবাদিক না। কারণ তারা দেশের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছেন। তার জবাবে আমি বিপর্যস্ত বোধ করছি।
জাপানিজ সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে-কে গত জুনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সু চি বলেছিলেন, রাষ্ট্রীয় গোপনীয় লঙ্ঘনের দায়ে দুই প্রতিবেদককে আটক করা হয়েছে।
প্যান ই মোন বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চির নীরবতায় হতাশা আমরা। সারা জীবন ধরে আমরা ওই মানুষকে সম্মান করেছি, আর এটাই ছিলো আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল।

তিনি আরও বলেন, দুই মাস আগে জন্ম নেয়া আমাদের কন্যা তার বাবার আদর পাচ্ছে না। যখন আমার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়, তখন আমি ভেবেছিলাম, সন্তান প্রসবের আগেই তিনি ছাড়া পাবেন। কিন্তু আমার সন্তান ভূমিষ্ঠ হলেও স্বামী মুক্তি পায়নি। আমার জোরালো বিশ্বাস ছিল, আমার কন্যা তার কারামুক্ত বাবাকে দ্রুতই দেখতে পাবে। কিন্তু কারাদণ্ডের শাস্তি ঘোষণার পর আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যাই।
সংবাদ সম্মেলনে দুই সাংবাদিকের আইনজীবীরা বলেন, তারা তাদের মক্কেলদের ছাড়িয়ে আনার সম্ভাব্য সব বিকল্প বিবেচনা করে দেখছেন।

এ সময় কিয়া সোয়ের স্ত্রী চিট সু উন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি তারা মুক্তি পাবেন এবং আমরা একসঙ্গে বাড়ি ফিরবো।’
তিনি আরও বলেন, ওই দুই সাংবাদিক নির্দোষ। সাংবাদিক হিসেবে তারা কেবল তাদের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই রায়ের ঘটনায় আমাদের একমাত্র কন্যা মোয়ে থিন ওয়া জান মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
এদিকে এই রায় নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও মুখ খুলেননি মিয়ানমার সরকার কিংবা সু চি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *