খুন-গুম আর রক্তে দেশ আজ ভালো নেই। প্রমাণ হয়েছে শুধু জাতীয় পার্টি ছাড়া কেউ এ দেশে সুশাসন দিতে পারে না। আমাদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত, আমরা ৩০০ আসনেই নির্বাচন করবো। আমরা দেশের মানুষকে শান্তি দেবো, মুক্তি দেবো। বললেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের শাহজাদপুর, কড়াইল বস্তি ও মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগকালে এ কথা বলেন তিনি।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, শান্তির বাংলাদেশ এভাবে চলতে পারে না। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে, মানুষ বাঁচতে চায়। আমরা মানুষকে বাঁচাতে পথে নেমেছি।
বেলা ১১টায় বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্ক থেকে গাড়িবহর নিয়ে বের হয়ে এরশাদ গুলশানের শাহজাদপুর ঝিলপাড়ে এক জনসভায় বক্তৃতা করেন। এর পর কড়াইল বস্তিসংলগ্ন আনসার ক্যাম্প মাঠে এবং মহাখালীর কাঁচাবাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।
এরশাদ আরও বলেন, আমি যখন ক্ষমতা ছেড়েছি, তখন চালের দাম ১০ টাকা কেজি ছিল। নিত্যপণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল।
তিনি বলেন, মধ্যম আয়ের দেশ ঘোষণায় যারা উল্লসিত, তারা গ্রামের খবর জানেন না। মানুষের কষ্টের খোঁজ রাখেন না। সবাই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ব্যস্ত, মানুষের কষ্টের খোঁজ রাখার সময় নেই কারো।
তিনি আরও বলেন, খবরের কাগজ খুললেই শুধু মানুষ খুন আর রক্তের খবর; ইচ্ছে করলেই এ খুন বন্ধ করা যায়। কিন্তু কারো খেয়াল নেই, কারো ইচ্ছে নেই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে।
এরশাদ বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের এমপি থাকাকালে এ এলাকায় পানির কষ্ট দূর করতে ১৪টি পানির পাম্প বসিয়েছিলাম। আমরা রাস্তাঘাট করেছি, মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন করেছি।
তিনি বলেন, আবারও সুযোগ দিন, মানুষের কল্যাণে কাজ করতে এখনও বেঁচে আছি। মানুষের দোয়ায় আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য।
এ সময় আগামী নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন কামনা করলে উপস্থিত জনতা হাত তুলে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সমর্থন জানান।
সভায় মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার বলেন, রাজনীতির জীবন্ত কিংবদন্তি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ দেশের মানুষের পরীক্ষিত বন্ধু। তিনি দেশে সুশাসন, কল্যাণ, উন্নয়ন ও জীবনের নিরাপত্তা দিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির নেতা নুরুল ইসলাম নুরু, সুলতান আহমেদ সেলিম, হেলালউদ্দিন, আবুল খায়ের, নুরুল ইসলাম, আবদুল আজিজ, আলাউদ্দিন মৃধা প্রমুখ।