দেশে সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নিরলস পরিশ্রমের ফলে সাক্ষরতার ক্ষেত্রে এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু-কিশোরদের জন্য সরকার ২০১৪ সালে উপানুষ্ঠনিক শিক্ষা আইন প্রণয়ন করে।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে নিরক্ষর ব্যক্তির সংখ্যা তিন কোটি ২৫ লাখ। ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১০ লাখ শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে রয়েছে।
মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশে নিরক্ষরতা দূরীকরণে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষর নারী-পুরুষকে সাক্ষরতা জ্ঞান দেওয়ার জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো ৬৪ জেলায় মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের ৫০ লাখ মানুষকে উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা, বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে এবং কিছু শহর এলাকায় মোট পাঁচ হাজার ২৫টি আইসিটিভিত্তিক স্থায়ী কমিউনিটি লার্নিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সার্বিক সাক্ষরতা আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এক কোটি ৮০ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা জ্ঞান প্রদান করে। এর সুফল হিসেবে ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা পুরস্কারও লাভ করে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশে শিক্ষার বিস্তার ও নিরক্ষরতা দূর করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা পদ্ধতিও চালু করা হয়েছে।