কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন- আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠন করা হোক। এখানে যদি বিএনপিকে টানা হয়, তাহলে আওয়ামী লীগও চলে আসতে পারে।
শনিবার দলীয় কার্যালয়ে দলের বর্ধিত সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে দলের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন- অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে। আমরা কোনও জোটে থেকে নির্বাচন করব নাকি এককভাবে করবো তা সময় বলে দেবে।
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, জাতীয় ঐক্য এখনও গঠন হয়নি। এ নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে। জাতীয় ঐক্যের স্তম্ভ কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ তৈরি করেছে। আমাদের বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠন হতে পারে না। আমি অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আমি শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগ চাই না। আমার স্পষ্ট কথা, রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই।
কাদের সিদ্দিকী বলেন- ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও নির্বাচনে যাইনি। তার মানে এই নয় যে, বিএনপিকে সমর্থন দিয়ে তাদের সঙ্গেই আছি। আর আগামী নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না, সেটি তাদের বিষয়। আমরা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে নির্বাচনে যাব।
তিনি আরও বলেন- আমার স্পষ্ট বক্তব্য, যতদিন বেঁচে থাকব বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে বেঁচে থাকব। দুঃখ হয়, বর্তমান আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে না।
ড. কামাল হোসেনসহ যুক্তফ্রন্টের নেতাদের বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, এটা তাদের নিজস্ব বক্তব্য। জাতীয় ঐক্যই গঠন হয়নি। জাতীয় ঐক্য গঠন হলে তখন বক্তব্য বা সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। তবে সীমা ছাড়িয়ে গেলে জাতীয় ঐক্য হবে না, ঐক্য থাকবে না।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জোট গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে অর্থমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত হলেন রান্নায় দেয়া হলুদের মতো। উনি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানে ছিলেন, পরে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন। উনি বিএনপি আমলে সরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন, এরশাদের আমলে জাতীয় পার্টির মন্ত্রী ছিলেন। উনি এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছেন। উনি রান্নায় দেয়া হলুদ ছাড়া আর কিছুই না।