ক্ষতিকর কেমিকেলের চোরাকারবারি বন্ধে রামান স্পেকট্রোমিটারের ব্যবহার শুরু

মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর কেমিকেল আমদানির প্রবণতা রোধে বাংলাদেশ কাস্টমস রামান স্পেকট্রোমিটার ব্যবহার শুরু করেছে। এই হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস লেজার রশ্মি ব্যবহার করে রাসায়নিক পদার্থের (কেমিকেল) বিভিন্ন উপাদান ও জাতিবাচক (জেনেরিক) নাম বলে দিতে পারে। এতে মিথ্যা ঘোষণায় নিষিদ্ধ রাসায়নিক দ্রব্য আমদানি ও চোরাকারবারি কমে যাবে,যা রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে রাজস্ব প্রশাসন।
ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অরগানাইজেশন (ডব্লিউসিও) নিরাপত্তা প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারকে ৩টি ডিভাইস অনুদান হিসেবে দিয়েছে। প্রথমে চট্টগ্রাম,বেনাপোল ও ঢাকা কাস্টম হাউসে এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। বাকি শুল্ক ভবন ও স্টেশনে পর্যায়ক্রমে রামান স্পেকটোমিটার বসানো হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া বাসস’কে বলেন,মিথ্যা ঘোষণায় নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর কেমিকেল আমদানি রোধে আমরা কাস্টমসে রামান স্পেকট্রোমিটার যোগ করেছি। হাতে ধরা এই হালকা ডিভাইসটি ১২ হাজার কেমিকেলের নমুনা তাৎক্ষনিকভাবে ( মাত্র ৩০ সেকেন্ড) নিখুঁতভাবে রিপোর্ট দিতে পারবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কেমিকেলের নামে মাদক ও বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
তিনি বলেন,বিশেষ এই যন্ত্র যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ কাস্টমস আধুনিকতার নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। এর মাধ্যমে নিষিদ্ধ ক্ষতিকর কেমিকেল আমদানি নিয়ন্ত্রনের ফলে চোরাকারবারিও বন্ধ করা যাবে। যা প্রকারান্তরে রাজস্ব আয় বাড়াতে সহায়ক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিট বিভাগের কমিশনার ড. মইনুল খান জানান,এই ধরনের আধুনিক ডিভাইস না থাকায় ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে বলিভিয়া থেকে আনীত ভোজ্য তেলের ১০৫ টি ড্রামের ভেতর কোকেন আমদানির চালান শনাক্ত করতে পারেনি। কিন্তু এখন থেকে এ জাতীয় অপরাধ প্রতিরোধ করা সহজ হবে।
অন্যদিকে,স্বল্প সময়ে সঠিক রিপোর্ট পাওয়ায় সৎ ব্যবসায়িরা উপকৃত হবেন। বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে রিপোর্ট পেতে সময় ক্ষেপন এবং এর মান নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। এতে হয়রানি অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকির বিষয়টিও থেকে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *