আজ সোমবার বারসিক আয়োজিত নিরাপদ সড়ক ও যোগাযোগ বিষয়ক সচেতনতা মুলক আলোচনায় দাবী জানায় সোনাদিঘী স্কুলের শিক্ষার্থীরা। অংশগ্রহনমুলক আলোচনায় শিক্ষার্থীদের যাত্রী হিসেবে ও পথচারী হিসাবে ট্র্যাফিক সিগনাল কিভাবে মেনে চললে দূর্ঘটনার শিকার হতে মুক্ত থাকা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন বারসিক প্রতিনিধি জাহিদ আলী ।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউপির সোনাদিঘি উচ্চ বিদ্যালয়, রাজশাহী চাঁপাই নবাবগঞ্জ মহাসড়কের পাশ ঘেষে সোনাদিঘি স্কুলের অবস্থান। সোনাদিঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে সোনদিঘি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সোনাদিঘির এই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন আশে পাশের কয়েক গ্রামের ৫শতাধিক শিক্ষাথী। শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় জানা যায় তারা সর্ব্বোচ্চ আড়াই কিলোমিটার দুর থেকে এই স্কুলে পড়তে আসেন। রাস্তা পারাপারে শিক্ষার্থীদের ঝুকি নিয়ে তারা প্রতিদিন স্কুলে আসেন।
এ প্রসঙ্গে নবম শ্রেনীর ছাত্রী তানিয়া খাতুন জানান“ আমাদের স্কুলটির পাশে দিয়ে মহাসড়ক থাকায় দুর্ঘটনার ঝুকি নিয়ে আমরা স্কুলে আসি। স্কুলের সামনে স্পিড ব্রেকার বা জেব্রা ক্রসিং না থাকায় গাড়িগুলো দ্রুত চলাচল করা করে। আমাদের দাবী এ স্কুলের সামনে একটি জেব্রা ক্রসিং দেয়া হোক”। স্কুলের অপর একজন শিক্ষার্থী ইসমত আরা জানান“ মহাসড়কে গাড়ি গুলো এত দ্রুত যায় যে প্রায় কুকুর,বিড়াল,ইদুরের মতো প্রানীগুলো রাস্তায় মরে পড়তে থাকতে দেখা যায়। গাতির গতি সীমিত রাখার কোন সাইন বোর্ড না থাকায় এইখানে দ্রুত বেগে গাড়ী চলাচল করে”।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম জানান, গোদাগাড়ী উপজেলার মহাসড়কে মাটিকাটা ডিগ্রি কলেজের সামনে যেমন ছোট ছোট আকারের স্পিড ব্রেকার দেয়া হয়েছে তেমনটি যদি এই স্কুলের সামনে কর্তৃপক্ষ দেয় তাহলে এইখানে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কম থাকে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপারে সহজ হয়।
নিরাপদ যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে সড়ক হোক সকল প্রাণের জন্য নিরাপদ এটাই সবার কাম্য।