1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
সমাবেশের প্রস্তুতি দু’পক্ষের কী হবে কাল - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা সোনার দাম আরও কমল রাজধানীতে পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বিএনপির জায়েদ খানের এফডিসিতে ফেরা হবে কিনা, জানালেন ডিপজল কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট সিনেমা হলে দেওয়া হচ্ছে টিকিটের সঙ্গে ফ্রি বিরিয়ানি ঢাকায় বড় জমায়েত করতে চায় বিএনপি ১৫ বছর পর নতুন গানে জেনস সুমন যশোরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেলের জয়লাভ গোবিন্দগঞ্জে অটোচালক দুলা হত্যার মূল আসামি আটক চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু পলাশবাড়ীতে উপজেলা নির্বাচনে অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই বিএনপি বলে বিরোধীদল দমন’ এবার বুবলী-শাকিবের ‘কোয়ালিটি টাইম’ নিয়ে মুখ খুললেন অপু

সমাবেশের প্রস্তুতি দু’পক্ষের কী হবে কাল

  • Update Time : শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ১৬০ Time View

ঢাকায় একই দিনে বড় শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করে দলের কর্মপন্থা ঘোষণার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে বিএনপি। এ জনসভায় বিপুল লোক সমাগম করে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে চায় দলটি। অন্যদিকে বিএনপির সমাবেশের দিনে কৌশলে মাঠ দখলে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো সভা সমাবেশ ঘোষণা না দিলেও ওইদিন ১৪ দলের নাগরিক সমাবেশকে ঘিরে দলের নেতাকর্মীরা বড় শোডাউন করতে চান। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির সমাবেশের দিনে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ওইদিন স্থানীয় নেতাকর্মীরা যার যার এলাকায় অবস্থান নিয়ে মিছিল সমাবেশ করবেন। এছাড়া ১৪ দলের সমাবেশ ঘিরেও ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যদিও শনিবার সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতি পায়নি বিএনপি।দলটির নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশের অনুমতি না পেলেও তারা সমাবেশ করতে অনড়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের অনুরোধ করা হয়েছে একই দিনে না করে রোববার সমাবেশ করার লিখিত আবেদন করতে।

গতকাল নতুন করে আবেদন করা হলেও অনুমতির বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি। তাই অনুমতি পাওয়া না পাওয়া ও সমাবেশ করা না করা নিয়ে অনেকটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। একই দিনে মাঠে থাকলে সংঘাত সংঘর্ষ হওয়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে জনমনে। যদিও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হবে না। তবে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদিও সমাবেশ করা নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে জনমনে।

সোহরাওয়ার্দীতেই সমাবেশের প্রস্তুতি বিএনপির: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী শনিবারের জনসভার ব্যাপারে গণপূর্তের পর পুলিশি অনুমতির অপেক্ষা করছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত এ জনসভা আয়োজনে পুলিশের অনুমতি মেলেনি। একইদিন রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নাগরিক সমাবেশ থাকায় বিএনপির জনসভা করার অনুমতির পাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। তারপরও সোহরাওয়ার্দীতে জনসভাটি করার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। আলাদা বৈঠক করে জনসভা সফল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। মহানগর বিএনপির পাশাপাশি রাজধানীর আশেপাশের জেলাগুলো থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেবেন এ জনসভায়।

এদিকে একইদিন আওয়ামী লীগ-বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে উত্তাপ। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে কড়া বক্তব্য দিচ্ছেন। তবে বিএনপি নেতারা বলছেন, শনিবার মহানগর নাট্যমঞ্চে ১৪ দলের নাগরিক সমাবেশের কথা তারা জানতেন না। মহানগর নাট্যমঞ্চ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দূরত্বের কথাটি উল্লেখ করেও তারা বলছেন, শান্তিপূর্ণভাবেই জনসভা করতে চায় বিএনপি। এদিকে শনিবার মহানগর নাট্যমঞ্চে নাগরিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী ফের একদিন পিছিয়ে জনসভার আবেদন করেছে বিএনপি।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কমিশনারের কাছে গেলে তাদের জনসভাটি একদিন পিছিয়ে নতুন করে আবেদনের পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী গতরাতে আরেকটি আবেদন পাঠিয়েছে বিএনপি। বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর নিশ্চিত করেছে। উল্লেখ্য, গত ২৪শে সেপ্টেম্বর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ২৭শে সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও নয়া পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে- এই দুইটি ভেন্যু উল্লেখ করে সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে আবেদনও করা হয়। তবে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে জনসভাটি দু’দিন পিছিয়ে ২৯শে সেপ্টেম্বর পুনঃনির্ধারণ করে বিএনপি। পরদিন মঙ্গলবার সংবাদ ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে কর্মসূচিটি পেছানোর কথা জানিয়ে দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

২৯শে সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা সফল করতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের একটি যৌথসভাও করেন বুধবার। যৌথসভা শেষে মির্জা আলমগীর বলেন, সোহরাওয়ার্র্দী উদ্যানের জনসভা থেকে আমরা আমাদের নীতিনির্ধারণী বক্তব্য দেবো। আমাদের ভবিষ্যতের কর্মপন্থা ও কর্মসূচি- এগুলো আসবে। শনিবার মহানগর নাট্যমঞ্চে আওয়ামী লীগের নাগরিক সমাবেশ কর্মসূচি থাকায় বিএনপি জনসভার অনুমতি পাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেছিলেন, আমরা জনসভা করতে চেয়েছিলাম ২৭শে সেপ্টেম্বর। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ২৭শে সেপ্টেম্বর করা ঠিক হবে না। শনিবার ২৯শে সেপ্টেম্বর ছুটির দিন আছে সেদিন করেন, সোহওরায়ার্র্দী উদ্যানে করেন। সেজন্য আমরা ২৯শে সেপ্টেম্বর জনসভা করার এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছি।

তিনি বলেন, এখন বলা হচ্ছে- না। সেদিন নাকি আওয়ামী লীগের কোনো একটা মতবিনিময় সভা আছে। আমি ঠিক জানি না, তবে সেটা মহানগর নাট্যমঞ্চে সম্ভবত। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বহু দূরে এই মতবিনিময় সভার ভেন্যু। তার সাথে আমাদের জনসভার সম্পর্কটা কোথায়, বিরোধ কোথায় সেটা তো আমরা বুঝতে পারছি না। মির্জা আলমগীর বলেন, নাসিম সাহেব (মোহাম্মদ নাসিম) এক সভায় বলেছেন- রাজপথে গলিতে যেখানে পাবা সেখানে আটকিয়ে দাও। সেখান থেকে যেন বিএনপি বেরিয়ে আসতে না পারে। আর জাহাঙ্গীর কবির নানক বলছেন, হাত-পা ভেঙে দাও।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই তো হচ্ছে তাদের গণতন্ত্রের ভাষা। জনগণ বিবেচনা করবেন এই সংঘাত সহিংসতা কারা শুরু করে। ২০০৬ সালে ২৮শে অক্টোবর কারা লগি-বৈঠা দিয়ে সেদিন ২৭ জন তরুণকে হত্যা করেছিল? এটা ভুলে যাওয়ার কথা নয়। দুর্ভাগ্য এটা যে আমাদের মিডিয়া কেন জানি এসবকে সামনে তুলে নিয়ে আসে না। শনিবারের অনুমতির জন্য বিএনপি আবেদন করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেন, ভাই- অনুমতির আবেদন-টাবেদন না। ইট ইজ দেয়ার রেসপনসেবেলিটি। এটা তারা ঠিক করবেন, কী করবেন? ২৯শে সেপ্টেম্বর জনসভা করার জন্যই আজকে আমরা যৌথসভাটি করেছি। পরে বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যে কোনো মূল্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা সফল করা সিদ্ধান্ত হয়। সেই সঙ্গে জনসভার প্রস্তুতি ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন। এদিকে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগে করেছেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চাই।

কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্য সংঘাত সৃষ্টির ইঙ্গিত। তাদের বক্তব্য গুণ্ডাসুলভ। তারা সংঘাতকে উসকে দিচ্ছে। আমরা তাদের এসব বক্তব্য থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। রিজভী বলেন, ২৯শে সেপ্টেম্বর সমাবেশের জন্য আমরা সকল প্র্রস্তুতি নিচ্ছি। বুধবার মহাসচিবের নেতৃত্বে যৌথসভায় সকল প্রস্তুতির বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হয়েছে। আমরা পুলিশকে চিঠি দিয়েছি। পুলিশের সঙ্গে আলাপ করেই কিন্তু ২৯শে সেপ্টেম্বর করা হয়েছে। পুলিশ মৌখিকভাবে আমাদের বন্ধের দিন জনসভাটি করতে বলেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলেই আমরা শনিবার বন্ধের দিন জনসভার দিন ঠিক করেছি।

তিনি বলেন, গণপূর্তের চিঠির জবাব আমরা পুলিশের কাছে পাঠিয়েছি। পুলিশের লিখিত বা মৌখিক অনুমতি না পেলেও এখন পর্যন্ত তারা নেতিবাচক কিছু বলেনি। আমরা আশাবাদী অনুমতি পাবো। আমাদের জনসভার কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। বেশ ভালোভাবে আমরা শনিবার সমাবেশ করবো। আমি আশা করছি, এই জনসভা সাফল্যমণ্ডিত করতে পুলিশ সহযোগিতা করবে। রিজভী বলেন, মহানগর নাট্যমঞ্চে ২৯শে সেপ্টেম্বর ১৪ দল যে নাগরিক সভা করবে তা আমরা জানতাম না। তাছাড়া আমাদের মহাসচিব বলেছেন, পুলিশের সঙ্গে আলাপ করেই ২৯শে সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ ডাকা হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ সফল সমাবেশ করতে চাই।

কোনোরকম বিশৃঙ্খলাপূর্ণ কিছু হবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য সংঘাতকে উসকে দিচ্ছে। এটি ঠিক হচ্ছে না। জনসভার অনুমতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ বলেন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও আমি পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। কথা বলে এসেছি। আমরা আশাবাদী জনসভার অনুমতি পাব। তিনি বলেন, সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। জাতীয় ঐক্য তৈরি হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায় হবে।

এদিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবারের জনসভাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে বিএনপি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই জনসভায় নির্বাচনের বিষয়ে দলীয় চিন্তা ও কর্মপন্থা ঘোষণা করা হবে। একই সঙ্গে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠিত হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিহিংসার রাজনীতির পরিবর্তে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ নানা অঙ্গীকার থাকবে। তবে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অংশগ্রহণ করা না করা নিয়ে দলীয় অবস্থান এখনই খোলাসা করবে না বিএনপি। ক্ষমতাসীনদের গতিবিধির উপর নজর রেখে কৌশলে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। তবে শনিবারের জনসভা করতে পারলে সেখান থেকে দলীয় অবস্থান তুলে ধরে নেতাকর্মীদের প্রাথমিক দিকনির্দেশনা দেয়া হবে। বিএনপি সূত্র জানায়, শনিবারের জনসভাকে কেন্দ্র করে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে জোটের বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে জোটের বৈঠকে শরিক দলের নেতাদের মতামত ও পরামর্শ নেয়ার সিদ্ধান্তও হয়। তবে শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভাটি জোটগত নয়, এককভাবেই করবে বিএনপি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্বাচনকালীন একটি রূপরেখা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সে অনুযায়ী সে রূপরেখাটির একটি খসড়াও তৈরি করা হয়েছিল। যার ব্যাপারে দলের শুভাকাঙ্ক্ষী বিভিন্ন পেশাজীবী ও থিংকট্যাঙ্কদের মতামতও নেয়া হয়েছিল। দলের কারাবন্দি চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মতামতের ভিত্তিতে সে রূপরেখাটি জাতির সামনে উপস্থাপন করা হতে পারে সোহরাওয়ার্দীর জনসভায়। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।

মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ: ১৪ দলের কর্মসূচিকে সফল করতে ওই দিন মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। রাজধানীজুড়ে তারা সতর্ক অবস্থানও নেবে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকবে ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোও। গতকাল এ নিয়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে শনিবারের কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, ১৪ দলের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি এটা। বিএনপি নিজেরা মুখোমুখি হতে তাদের কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তন করেছে। তাই তাদের কর্মসূচির কারণে তো ১৪ দল পিছিয়ে আসতে পারে না। আর ১৪ দলের নেতৃত্বে রয়েছে আওয়ামী লীগ। তাই শরীকদের নিয়েই আগামীকালের কর্মসূচি সফল করা হবে।

এ কারণে রাজধানী ঢাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তৎপর থাকবে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, ১৪ দলের প্রধান শরিক দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই মূলত ১৪ দল পরিচালিত হয়ে আসছে। সুতরাং আওয়ামী লীগ তো ১৪ দলের ওই কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার চেষ্টা করবে। আমরা মনে করি, ১৪ দল অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারক ও বাহক। সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনীতির পুরোধা শক্তি হচ্ছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, নীতিগতভাবে আমরা মুখোমুখি রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।

কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি বিশেষ করে নির্বাচনমুখী রাজনীতি আমাদের দখলে রাখবার বা আয়ত্বে রাখবার সর্বাত্মক চেষ্টা আমাদের থাকবেই। আবদুর রহমান বলেন, বিএনপি বা তথাকথিত যে ঐক্যজোট তাদের যদি ইতিবাচক রাজনীতি করার প্রবণতা থাকতো তাহলে নিশ্চয় ২৭ তারিখের কর্মসূচি পরিবর্তন করে ২৯শে সেপ্টেম্বর করতো না। তাদের মূল লক্ষ্য জনসমাবেশ নয়। মূল লক্ষ্য হলো জনগণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করা। তিনি বলেন, তাদের যত অসৎ উদ্দেশ্যই থাকুক তাদের সে চক্রান্ত সফল হবে না। বাংলাদেশের মানুষ অবশ্যই নির্বাচন চায়। নির্বাচন যথাসময়ে এবং সংবিধান অনুসারেই হবে। অবশ্যই সেটা অংশগ্রহণমূলকও হবে। দলের কয়েকজন নেতা জানান, শনিবার বিএনপি যদি কোন ধরনের উত্তপ্ত পরিস্থিতির পাঁয়তারা করে সেজন্য তারা রাজধানীজুড়ে সতর্ক অবস্থানে থাকবে। এরই মধ্যে দলের নেতাকর্মীদের সে বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

এদিকে কর্মসূচি প্রসঙ্গে গতকাল সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জোর করে ২৯ তারিখ সভা করবে? কেন এই জেদাজেদি? অনুমোদন ছাড়া আপনি সভা করবেন? এত লাফালাফি কেন? তিনি বলেন, ১০ বছরে ১০ মিনিটও রাস্তায় নামতে পারেননি। এখন আপনি হঠাৎ করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে খুশি করতে ব্যর্থতা ঢাকার জন্য লাফালাফি করছেন। এত লাফালাফির পরিণাম শুভ হবে না। হুমকি-ধমকি দিয়ে আন্দোলন করবেন, আমরা ঘরে বসে ডুগডুগি বাজাব, তা হবে না। তিনি বলেন, ১৪ দল পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে, নিজেরা বসেছে। এখন তারা মহানগর নাট্যমঞ্চে আরও একটু বড় পরিসরে নেতাকর্মীদের সমাবেশ করবে।

এটা বিএনপির সঙ্গে কোনো পাল্টাপাল্টি নয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো উদ্বেগ নেই, তবে সতর্কতা আছে। আমরা সতর্ক আছি। এদিকে ১৪ দলীয় জোটের কর্মসূচি প্রসঙ্গে জোটটির মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম শনিবার ঢাকা দখলে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, চক্রান্তকারীরা মাঠে নামবে। আমরা দেখবো, কারা মাঠে নামবে আর কে নামবে না? আগে থেকেই ঢাকা দখলে ছিল আমাদের, ইনশাল্লাহ আগামীতেও ঢাকা আমাদের দখলে থাকবে। শুধু ঢাকা নয়, সারা বাংলাদেশ শেখ হাসিনার দখলে থাকবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।

জোটের নেতাকর্মীদের যেকোনো চক্রান্তের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা এলাকায় প্রস্তুত থাকবেন, যেন ওই অপশক্তি (বিএনপি) মাঠে নামতে না পারে। ওদের মাঠে প্রতিহত করবেন, রাস্তায় প্রতিহত করবেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, আগামী একটা মাস আপনাদের কোনো কাজ নেই। ১৪ দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পাড়া-মহল্লায় আপনারা সজাগ থাকবেন। সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানিয়ে ১৪ দলের সমন্বয়ক বলেন, আপনারা ১৪ দলের প্রোগ্রামে আসবেন। সেখানে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা বক্তব্য রাখবেন। ঢাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে এ বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। ২৯ তারিখ ১৪ দলের সমাবেশ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com