হাতিরঝিল থানায় করা নাশকতার মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৭ কেন্দ্রীয় নেতা। গতকাল তারা সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের বেঞ্চ তাদের আবেদন মঞ্জুর করে আগাম জামিনের এ আদেশ দেন। জামিন প্রাপ্তরা হলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, মামলায় পুলিশের প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাঁরা জামিনে থাকবেন। আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবেদীন সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী একেএম এহসানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবির। পরে একেএম এহসানুর রহমান বলেন, ‘মামলায় পুলিশি প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাঁরা জামিনে থাকবেন বলে আদালতের আদেশে বলা হয়েছে।’ এর আগে গত মঙ্গলবার একই মামলায় আগাম অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ ও দলটির আইন বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া।
গতকাল আদালতের আদেশের পর জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো ঘটনাই ঘটেনি কিন্তু বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের নামে ভৌতিক মামলা দেয়া হচ্ছে।মৃত মানুষদের নামে মামলা দেয়া হচ্ছে, বিদেশে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের নামেও মামলা দেয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এরকম ভৌতিক মামলা পৃথিবীর আর কোথাও হয় না। এমনকি স্বৈরশাতান্ত্রিক দেশেও এ ধরনের মামলা দেয়া হয় না। বিএনপির বিশাল সমাবেশ দেখে সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে গেছে। এ কারণেই এসব মামলা দেয়া হচ্ছে।’ গত ১লা অক্টোবর রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা ওই মামলায় বিএনপির ৫৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে গত ৩০শে সেপ্টেম্বর (রোববার) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। তাদের ওই বক্তব্যের পর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেদিন রাতে মগবাজার রেলগেট এলাকায় যান চলাচলে বাধা দেয়, পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং যানবাহন ভাঙচুর করে। বাস্তবে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে গণমাধ্যমে রিপোর্ট এসেছে।