হত্যাকাণ্ডের জন্য বাসচালককে ১০ হাজার টাকায় চুক্তি

সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাস থেকে বাবা আকবর আলীকে ফেলে দেয়ার পর মেয়ে জরিনাকে হত্যার ঘটনা পারিবারিক বিরোধ থেকে ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার এক সপ্তাহ পর আকবর আলীর পরিবারের ৩ সদস্য আটক এবং বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব ব্যুরো- পিবিআই।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই একথা জানায়।
শুক্রবার রাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তাদেরকে আটক করে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআইয়ের সদস্যরা। এর আগে আরও একজনকে আটক করে তদন্তকারী সংস্থা। এ নিয়ে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
গত ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় আশুলিয়ায় টাঙ্গাইলগামী একটি বাসে হত্যা করা হয় জরিনা খাতুনকে (৪৫)। বাস থেকে ফেলে দেয়া হয়েছিল তার বাবা আকবর আলী মণ্ডলকে (৭০)। পরে আকবর আলীর কাছে খবর পেয়ে ওইদিন রাতে মরাগাং এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের পাশ থেকে তার মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জরিনার মেয়ে রোজিনার স্বামী নূর ইসলাম নিজেই অজ্ঞাতদের আসামি করে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন। এখন পিবিআইর তদন্তে নূরই আসামি হিসেবে ধরা পড়েছেন।
পিবিআই ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে এই বাসে তুলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য বাসচালকের সঙ্গে ১০ হাজার টাকায় চুক্তি হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক-হেলপারসহ চারজনকে খোঁজা হচ্ছে।
গত ৯ নভেম্বর রাতে চলন্ত বাস থেকে বাবা আকবর আলীকে ফেলে দিয়ে মেয়ে জরিনাকে হত্যার পর মরদেহ ফেলে দেয়া হয় আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল মহাসড়কের আশুলিয়ার মরাগাঙ্গ এলাকায় সড়কের পাশে। পরে সেখান থেকে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। স্পর্শকাতর এ মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনায় অধিকতর তদন্তের জন্য প্রথমে ডিবি এবং পরবর্তীতে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব ব্যুরো পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *