কতোজনই এলো গেল, টিকে রইলো কয়জন? প্রশ্নটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য নতুন কিছু না। অভিষেক ম্যাচে শুধু নাঈম হাসান নন, বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন আরও সাত বোলার।
২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে নাঈমুর রহমান দুর্জয়, ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঞ্জারুল ইসলাম রানা, ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইলিয়াস সানী, ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সোহাগ গাজী, ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাইজুল ইসলাম।
এর মধ্যে দিন শেষের আগেই ডুবে গেছেন ইলিয়াস সানী, সোহাগ গাজীদের মতো বোলাররা। নাঈমও কী একই পথে হাঁটবেন? উত্তরটা আপাতত ভবিষ্যতের কাছে তোলা থাকুক।
মাত্র ১৭ বছর ৩৫৬ দিনে সাদা পোশাকের অভিজাত ক্রিকেটে অভিষেক। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে পাঁচ উইকেট নেয়ার ইতিহাসে নাঈম একাই।
অভিষেক ম্যাচে মাঠে যেমন সাবলীল খেলেছেন, ঠিক তেমন সাবলীল ছিলেন অভিষেক সংবাদ সম্মেলনেও।
অভিষেক টেস্ট রাঙিয়েছেন পাঁচ উইকেট নিয়ে। ঢুকে গেছেন রেকর্ড বইয়ে। তাতেও তাঁর চোখে-মুখে উচ্চাশা নেই বরং এভাবেই চালিয়ে যাওয়ার কথা শোনালেন।
‘আমি এমন কিছু চিন্তা করিনি, আমি নরমালি যেরকম খেলি, যেরকম বল করি সেভাবেই বল করেছি। তবে আসার পথে শুনেছি এটা রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু আমিতো আমার নরমাল ক্রিকেট খেলেছি। আমার কোনও লক্ষ্য ছিল না ৫ উইকেট, ১০ উইকেট নিতে হবে। আমি চেষ্টা করেছি প্রসেসটা মেনটেইন করতে।’