সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার তদন্তের অংশ হিসেবে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার ও ৫ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে সৌদি আরব। আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
খাশোগি ছিলেন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট ও সৌদির ক্ষমতাসীন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কঠোর সমালোচক। বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে যান তিনি। এরপর নিখোঁজ হন তিনি।
শুরুতে কয়েক সপ্তাহ বলা হয়, খাশোগি বেঁচে আছেন। এরপর তার খুনের বিষয়টি স্বীকার করা হয়। তখন সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাজে কর্মকর্তাদের একটি দল খাশোগিকে হত্যা করেছে।
সৌদি আরব ও তুরস্কের দেয়া তথ্য, বিভিন্ন ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে খাশোগি হত্যায় জড়িত সন্দেহে ১৫ জনের একটি তালিকা করেছে আলজাজিরা। এই তালিকায় থাকা সদস্যরা হলেন-
সালাহ আল তুবাইগি
সালাহ আল তুবাইগি একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ। তিনি সৌদি সরকারের একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তুর্কি সংবাদমাধ্যম সাবাহ-এর দেয়া তথ্যমতে, খাশোগির দেহ টুকরো করার নেতৃত্ব দেন তিনি।
মাহের মুতরেব
মুতরেব একজন শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মী। ধারণা করা হচ্ছে, খাশোগি হত্যার সময় দূতাবাসের ভেতর মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিলেন তিনি। তাকে বিভিন্ন সময় সৌদি আরবের ক্ষমতাসীন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পাশে দেখা গেছে।
মেশাল সাদ আলবোস্তানি
তিনি সৌদি বিমান বাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট। তিনি ২০০৬ সালে দেশটির বিমানবাহিনীতে যোগ দেন।
মুস্তফা মোহাম্মদ আল-মাদিনি
আল-মাদিনি একজন সরকারি চাকরিজীবী। তিনি ইস্তাম্বুলে অভিযান পরিচালনাকারী দলের গোয়েন্দা কাজকর্মের নেতৃত্ব দেন। মাদিনি খাশোগির পোশাক, চশমা ও অ্যাপলওয়াচ পড়ে দূতাবাস থেকে বেরিয়ে যান যেন মনে হয়, খাশোগি দূতাবাস ছেড়ে গেছেন।
আব্দুলআজিজ মোহাম্মদ আল-হওসাওয়ি
সৌদি আরবের ক্ষমতাসীন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নিরাপত্তা দলের সদস্য। তিনি সালমানের সাথে বিভিন্ন দেশ সফর করেন।
থার ঘালেব আল-হারবি
সৌদি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, এই নামের এক ব্যক্তিকে গত বছর সৌদি সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত করা হয়।
মোহাম্মদ সাদ আল-জাহরানি
সৌদি রয়াল গার্ডের সদস্য। অর্থাৎ তিনি সৌদি রাজ পরিবারের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকতেন।
খালিদ আয়েধ জি আল-ওতাইবি
এই ব্যক্তিও সৌদি রয়াল গার্ডের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত।
ওয়ালিদ আব্দুল্লা আল-সেহরি
সৌদি বিমান বাহিনীর সদস্য।
নায়িফ হাসান আল-আরিফ
সৌদি স্পেশাল ফোর্সের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত।
মানসুর ওথমান এম আবহুসাইন
একই নামের এক ব্যক্তিকে সৌদি গোয়েন্দাকর্মী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি তিনি কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফাহাদ শাবিব আল-বালাওয়ি
সৌদি রয়াল গার্ডের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত।
সাইফ সৌদ আল-কাহতানি
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত।
বদর লাফি এম আল-ওতাইবি
কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
তুর্কি মুসাররফ এম আল-সেহরি
কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।