কাজী মারুফের কষ্ট

ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক কাজী মারুফ। ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি ‘ইতিহাস’-এ অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন চিত্রনায়িকা রত্না। তাদের লিপে ‘তুমি কই তুমি কই, আমার বুকের মধ্যেখানে’ গানটি ছিল মানুষের মুখে মুখে।এরপর বস্তির ছেলে কোটিপতি, ক্যাপ্টেন মারুফ, অন্য মানুষসহ পর পর বেশ কিছু ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন মারুফ। অল্প সময়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি।বাবা নামী চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াতের হাত ধরেই চলচ্চিত্রে প্রবেশ। ইতিহাস ছবিতে অভিনয়ের আগেও জানতেন না তাকে কখনও নায়ক হতে হবে। বাবার ইচ্ছেতেই চলচ্চিত্র অভিনয়ে আসেন।কাজী মারুফ এখন চলচ্চিত্র থেকে দূরের বিদেশের মাটিতে পাড়ি জমিয়েছেন। সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। একটা সময় প্রতি সপ্তাহে ২টি করে ছবি মুক্তি পেত। এখন ছবির নির্মাণ এবং মুক্তির সংখ্যা অনেক কমে গেছে। যে কারণে শিল্পীদের হাতে কাজ নেই বললেই চলে। মূল ধারার প্রযোজকও ছবি বানাচ্ছেন না। সৌখিন প্রযোজকরা ১টি করে ছবি বানাচ্ছেন চলেও যাচ্ছেন।এমন নানা কারণে চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে গেছেন কাজী মারুফ। গেলো বছর সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে তাকে নিয়ে বেশ ট্রল হয়। বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের কষ্ট রয়েছে মারুফের। তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে ট্রল করা হয়েছিল। আমি নাকি সিনেমায় ‘কুত্তার বাচ্চা’ গালি দেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু একটি ক্লিপ দেখানো হয়েছে। কিন্তু সিনেমায় ওই গালির পেছনে আরও অনেক ঘটনা রয়েছে। যা ওইসব ভিডিওতে দেখানো হয়নি। এক ধরনের মানুষ আছে যারা অন্যকে ছোট করে আনন্দ পায়। যা মোটেও ঠিক নয়। একটা ভুল তথ্য অনেক বড় ঘটনার জন্ম দিতে পারে। তাই আমাদের এই বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।কাজী মারুফ বলেন, সিনেমা হলো সমাজের প্রতিচ্ছবি। আমরা অনেক সময় পথ দেখাই। ২০১৫ সালে ‘সর্বনাশা ইয়াবা’ ছবি করেছিলাম। ছবিতে আমি পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করি। তখন ইয়াবার বিরুদ্ধে বা মাদকের বিরুদ্ধে আমি যে কঠোরভাবে অবস্থান নেই। কিছুদিন আগে দেখলাম আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী তেমনিভাবে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *