সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন স্থানে গানের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে হেনস্তা হয়েছেন মেখলা দাশগুপ্ত, সোমলতা আচার্যের মতো কিছু গুণী শিল্পী। এবার এই তালিকায় এসেছে গায়িকা ইমন চক্রবর্তীর নাম।
আয়োজকদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হয়ে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব তথ্য জানান জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই গায়িকা।
গেল রোববার ভারতের কৃষ্ণনগর পৌরসভা আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজির হন ইমন। অনুষ্ঠান শেষে গায়িকার বহনকারী গাড়ি আটকে রাখে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। এসময় আয়োজকদের প্রতি বিভিন্ন অভিযোগ তুলে কথা বলেন ইমন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কৃষ্ণনগর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান অসীম সাহা। মহকুমা শাসক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
ফেসবুক লাইভে এসে ভক্তদের কাছে প্রশ্ন করে গায়িকা ইমন জানান, পেশাদার গায়িকা হিসেবে টাকার বিনিময়ে তারা বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করেন। তাই বলে কি শিল্পীর নূন্যতম কোনও সম্মান নেই? টাকা নিচ্ছেন বলে কি গায়িকার সঙ্গে যা কিছু করা যায়?
লাইভের এক পর্যায়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে গায়িকা জানান, রাত ৮টায় কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরী মাঠের মঞ্চে গান শুরু করেন তারা। প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টা গান পরিবেশন করেন তিনি। দর্শকদের আবেদনের সব গান গেয়ে শোনান। তবে অনুষ্ঠান শেষে আয়োজকদের অসভ্য আচরণ ধরা পড়ে। ইমন ও তার সহশিল্পীদের আটকে রাখা হয়। চেষ্টা করেও বের হতে পারছিলেন না। এসময় লাইভে এসে বিস্তারিত পরিস্থিতি জানান ইমন। তখন স্থানীয়রা ইমন ও তার সহযোগীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে। লোহার গেট ভেঙে এক পর্যায়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।
ইমন আরও জানান, গানের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় কৃষ্ণনগর পৌঁছান শিল্পী ও তার সঙ্গীরা। তাদের জন্য নির্ধারণ করা হয় শহরের একটি রেস্ট হাউজ। তবে সেখানে আয়োজকদের না পেয়ে অপেক্ষা করতে হয়। রেস্ট হাউজে ওঠার পর তাদের দেখভালের জন্য কেউ ছিল না বলে উল্লেখ করেন এই গায়িকা।এদিকে সার্বিক পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বেশ কয়েকজন গায়কের কাছে আবেদন রেখে বলেন, দিদি আবার আসবেন। কৃষ্ণনগরের মানুষ এই রকম না। কিছু মানুষের জন্য আমাদের ভুল বুঝবেন না।
অন্যদিকে গায়িকার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন সঙ্গীত জগতের কিছু পরিচিত মুখ। ফেসবুকে নিন্দা জানিয়েছেন সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র, জয় সরকার, শিল্পী স্বপ্নিল সজীব, লোপামুদ্রা মিত্র, সোমলতা আচার্যসহ অনেকে।