পেসার হান্ট থেকে জাতীয় দলে এসেছেন বিমান বাহিনীর সৈনিক ইবাদত হোসেন চৌধুরী। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে হ্যামিল্টনে অভিষেক হয় সিলেটের এই পেসারের। শুরুটা খুব চমকপূর্ণ হয়নি তার। ২৭ ওভার বল করে ১০৭ রান খরচ করে পেয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। তবে টানা ১৪০ কি.মি গতিতে বল করে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। এই সফরে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বয়স ভিত্তিক দলের বোলিং কোচ চাম্পাকা রামানায়কের সঙ্গে কাজ করেছেন নিজের বোলিংয়ের উন্নতির জন্য। শিষ্যের বোলিংয়ে কোচ দারুণ খুশি। তার আশা অনেক দূর যাবেন এই পেসার। গতকাল মিরপুরের একাডেমি মাঠে দাঁড়িয়ে এ লঙ্কান এই কোচ বলেন, ‘সে খুব জোরে বল করতে পারে। নিউজিল্যান্ডে তার বোলিং দেখে আসলেই ভালো লেগেছে। ক্যাচ মিস না হলে শুরুতেই উইকেট পেতে পারতো। তার প্রতিভায় আমার শতভাগ আস্থা আছে। নিউজিল্যান্ড সফরে যে পেসাররা খেলছে, তারা সবাই নতুন। তাদের সময় দিতে হবে অভিজ্ঞ হয়ে উঠতে।’
ইবাদতের নামের পাশে যোগ হতে পারতো আরো উইকেট। সেই সঙ্গে হয়তো টম ল্যাথামকে থামানো যেত রানের খাতা খোলার আগেই। ম্যাচের শুরুতে ইবাদতের বলে ওঠা ক্যাচ দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো সৌম্যর হাত ফসকে পড়ে যায়। দেশ ছাড়ার আগে কিছু কৌশলগত সমস্যা ছিল ইবাদতের। সেগুলো দারুণভাবে শুধরে দিয়েছেন চাম্পাকা। সেই সঙ্গে চোখও রেখেছেন এই পেসারের বোলিংয়ের দিকে। তিনি বলেন, ‘আমি ইবাদতকে নিয়ে স্কিল-বিষয়ক কাজ করেছি। দেখেছি তার বোলিং অ্যাকশন। সে যেভাবে বল আঙুল থেকে বের করছে, সব ভালো বোলাররা সেখান থেকেই করে। সব বল যখন একইভাবে হাত থেকে ছাড়তে পারবে তখন তার লাইন-লেন্থ আরো ভালো হবে। সে মাত্র একটা ইনিংস বল করেছে। যদিও অনেক ওভার করেছে। ভালো একটি টিমের সঙ্গে সে অনেক ওভার করেছে, এখান থেকে সে অনেক শিখতে পারবে। কীভাবে পেস ঠিক রেখে ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করা যায় সেটি নিয়ে আমরা কাজ করেছি।’