গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে হামলা চালানোর আগে সেখানে ৩০০টি সচল মোবাইল ফোনের অবস্থান শনাক্ত করে ভারতের একটি শীর্ষস্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা । সে অনুসারেই ওই হামলায় ৩০০ জনের নিহত হওয়ার খবর প্রচার করে ভারতের সামরিক সূত্র। বালাকোট হামলায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তির বিষয়ে এ কথা জানান ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ভারতের একটি পর্যবেক্ষক সংস্থা বালাকোটের ওই ‘জঙ্গি আস্তানায়’ ৩০০টি সচল মোবাইল ফোন শনাক্ত করে। পরে আস্তানাটি বোমা মেরে গুড়িয়ে দেয় ভারতের যুদ্ধবিমান। ভারতের দাবি, তাদের যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের ভেতরে জঈশ-ই মোহাম্মদের (জেইএম) আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছে। সেখানে জঙ্গিরা ভারতে আরো হামলা চালানোর জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। হামলায় সেখানে ৩০০ জনের মতো জঙ্গি নিহত হয়েছে দাবি করে ভারত।
কিন্তু পাকিস্তান ভারতের এই দাবি পুরোপুরি প্রত্যাখান করে সেখানে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানায়। নিজেদের দাবিকে আরো বিশ্বাসযোগ্য করতে পাকিস্তান দেশী-বিদেশী সাংবাদিকদের হামলাস্থল ঘুরিয়ে আনে। ফলে ভারতের সামরিক সূত্রে দাবি করা ৩০০ জন নিহতের খবর নিয়ে ধু¤্রজাল তৈরি হয়। এ বিষয়ে নতুন কোন শক্ত প্রমাণও হাজির করতে পারেনি ভারত।
মঙ্গলবার এ ইস্যুতে মুখ খোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ জিজ্ঞাসা করছে যে, হামলায় কতজন মারা গেছে? আপনারা আমাদের কাছে এর জবাব চান! ভারতের স্বনামধন্য ও বিশ্বাসযোগ্য পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা বলছে যে, ভারতীয় পাইলট বোমা ফেলার আগে সেখানে ৩০০টি মোবাইল ফোন সচল ছিল। সেখানে কতজন মারা গেছে তা আপনাদের আর বলার দরকার নেই।’ রাজনাথ সিং ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের কথা বুঝিয়েছেন। ভারতের এই পর্যবেক্ষক সংস্থাটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়।