পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আগুনের সূত্রপাত ওয়াহেদ ম্যানশনের দোতলা থেকেই হয়েছে বলে জানিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি)। তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় সেখানকার রাসায়নিক দ্রব্যের গুদামে বিস্ফোরণের কারণেই ভবনটির দেয়াল ভেঙে পড়ে। আর ভবনের প্লাস্টিকের গুদামের কারণে আগুন ছড়িয়ে যায় আশেপাশে। আইইবির ৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্তের পর গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দোতলার গুদাম থেকে সৃষ্ট আগুনে বিস্ফোরণ ঘটার কারণে দেয়াল ধসে পড়ে।
সেখানে অক্সিজেনের স্বল্পতার কারণে মসজিদের দিকে ধাবিত হয়ে পাশের রাস্তার দিকে চলে যায়। তবে এখানে কোনো ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। কিছুদূরে থাকা ট্রান্সফরমার সেই সঙ্গে বৈদ্যুতিক লাইন অক্ষত পাওয়া যায়।আলামত মেলেনি শর্ট সাকিটেরও। মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলেও প্লাস্টিক পণ্য বহনকারী ট্রাকটি ছিল ডিজেল চালিত। ওয়াহেদ ম্যানশনের দোতলায় অতি দাহ্য পদার্থ বাদামের তেল, জলপাইয়ের তেল ছিল। তাছাড়া এয়ার ফ্রেশনার ও সুগন্ধীর বোতল এখানে রিফিল করা হতো। এসবের অন্যতম উপাদান ইথানলের ফ্লাশ পয়েন্ট ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসব সামগ্রী উদ্বায়ী ও অতি দাহ্য পদার্থ। বলা হয়, রিফিলের সময় কারো সিগারেটের আগুন থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।