বিপিএলে একাদশে খেলেন ৪ বিদেশি। তাই অনেক দেশি ক্রিকেটার খেলার সুযোগই পান না ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে। শুধু তাই নয়, দলও পান না অনেক প্রতিভাবান তরুণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। যে কারণে বিসিবি একেবারেই দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজন করে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ টি-টোয়েন্টি। ১২ দল এখানে অংশ নিয়েছে চার গ্রুপে। মাঠের দারুণ লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এতেই নয়া টি-টোয়েন্টি লীগ নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ঘোষণা করেছে এখন থেকে প্রতি বছর ঢাকা লীগে হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলাও।
ফাইনাল শেষে সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলের ক্রিকেটার ছাড়া আমরা ঘরোয়াতে ৫০ ওভারের ম্যাচেই খেলতে চাই না। আর টি- টোয়েন্টিতে উৎসাহ আরও কম। এমনটাই এত দিন শুনে এসেছিলাম। এবার আমরা এটা থেকে বের হয়ে আসতে চেয়েছিলাম এবং আমরা পেরেছি। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা থাকুক বা না থাকুক এই আসর হবেই। যেহেতু এটার সঙ্গে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের থাকা বা না থাকার পার্থক্য নেই সেহেতু আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এটা চালু হয়েছে এবং এটা থাকবে। এটা প্রিমিয়ার লীগের সঙ্গেই থাকবে।’
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা নিউজিল্যান্ড সফরে থাকায় বেশির ভাগই খেলতে পারেননি ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ টি-টোয়েন্টিতে। যে কারণে অনেক দেশি ক্রিকেটারই সুযোগ পেয়েছে খেলার। বিশেষ করে ৬১ জন ক্রিকেটারের অভিষেকে হয়েছে টি-টোয়েন্টি। অভিজ্ঞরা ছাড়াও তরুণরা নজর কেড়েছে ব্যাটে বলে; যা বিসিবি সভাপতিকে টি-টোয়েন্টি লীগ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আসরে ৬১ জন ক্রিকেটারের টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে, এটা আমাদের অনেক বড় পাওয়া। বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার আছে যারা প্রতিভাবান, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এরা ভবিষ্যতে জাতীয় দলেও আসতে পারে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটার বা বিদেশি ক্রিকেটার ছাড়া একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসর হতে পারে, যেটায় বাংলাদেশের মানুষের খুব আগ্রহ আছে, এটা ভালো লেগেছে।’