সম্প্রতি জার্মানির পশ্চিমের শহর লেভারকুজেনে একটি ডে কেয়ারে শিশুদের খাবারে বিষক্রিয়া ঘটেছে। তবে সেই খাবার পরিবেশনের আগেই কর্মীদের সন্দেহ হলে তাঁরা সেগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেন। ঘটনাটি চলতি বছরের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারির বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডে কেয়ারের একজন কর্মী খাবার থেকে রাসায়নিকের গন্ধ পান। শিশুদের সেই খাবার না দিয়ে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে সেগুলো ফেরত পাঠায় ডে কেয়ার কর্তৃপক্ষ। এ খবর দিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
জার্মানির বার্লিনে বসবাসরত অভিভাবকদের জন্য সুখবর। আগস্ট মাস থেকে শিশুকে ‘ডে কেয়ার’ বা ‘চাইল্ড কেয়ার’ সেন্টারে পাঠানোর জন্য বাড়তি কোন টাকা গুনতে হবে না। জার্মানির আরো কয়েকটি রাজ্য একই পথ অনুসরণ করতে যাচ্ছে।পরবর্তীতে ল্যাব পরীক্ষায় শিশুদের জন্য দেয়া সসে ডিটারজেন্টের অস্তিত্ব মিলেছে। সেই সঙ্গে স্যুপে বিষক্রিয়ারও প্রমাণ পাওয়া গেছে। জার্মান সংবাদপত্র রাইনিশে পস্ট এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
শিশুরা এই খাবারের সংস্পর্শে আসেনি বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ এবং ডে কেয়ার কর্মীরা। কীভাবে খাবার দূষিত হয়েছে এখন তার তদন্ত চলছে। ‘‘যেহেতু তদন্ত চলমান সেজন্য এখনই আমরা কোনো ফলাফল জানাতে পারছি না। আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না কীভাবে খাবারে দূষণ ঘটেছে,” রাইনিশে পস্টকে জানান ডে কেয়ারটির প্রধান নাদিয়া গেওর্গিয়া। এই ঘটনার পর ডে কেয়ারগুলোতে খাবার সরবরাহ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ডে কেয়ার ও কিন্ডারগার্টেনগুলোর সংগঠনের প্রধান হান্স হ্যোরলড্ট। ‘‘আমরা খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে ছয়টি ধাপে তা পরীক্ষা করে দেখছি। সেই সঙ্গে প্রতিদিনের খাবারের নমুনা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্যও পাঠানো হচ্ছে,” সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম ডাব্লিউডিআরকে জানান তিনি। এদিকে পুলিশের ধারণা খাবারে এই বিষক্রয়া ইচ্ছাকৃতভাবেই ঘটানো হয়েছে। এর সাথে ডে কেয়ারে কর্মরত কেউ জড়িত থাকতে পারে। কেননা ল্যাব পরীক্ষায় দূষিত স্যুপে যে পরিষ্কারক পদার্থের অস্তিত্ব মিলেছে তা ডে কেয়ারটিতে ব্যবহার হয় বলে রাইনিশে পস্ট ও ডাব্লিউডিআর-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।