পাকিস্তানের সঙ্গে কেন নেপাল আলোচনা বাতিল করেছে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা। গত সপ্তাহে পাকিস্তানের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠক হওয়ার ছিল নেপালের। কিন্তু নেপাল তা বাতিল করেছে। এ বিষয়ে নেপালের মিডিয়া বলছে, ভারত অনুমোদন দেয় নি বলে নেপাল ওই বৈঠক বাতিল করেছে। অন্যদিকে ভারতের মিডিয়া বলছে, ভারত কোনো চাপ দেয় নি নেপালকে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনাকর অবস্থা বিরাজমান তার প্রেক্ষিতে নেপালই ওই বৈঠক বাতিল করেছে। এমন খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে ব্যবহার করা হয়েছে কূটনৈতিক সূত্র।
টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, ইসলামাবাদের সঙ্গে একটি বৈঠকই যে বাতিল করেছে নেপাল তা নয়। তারা আরো একটি বৈঠক বাতিল করেছে। অন্য বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল স্পিকারদের মধ্যে। ২৮ শে মার্চ নেপাল সফরে যান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে। এর কয়েকদিন আগেই এই বৈঠক দুটি হওয়ার কথা ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র বলেছেন, ভারতকে একজন বন্ধু হিসেবে দেখে নেপাল। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, তখনই ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। নিকটতম প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের গুরুত্ব বিবেচনা করে নেপাল তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সার্কের অন্যতম সদস্য দেশ নেপাল। তাই তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে ভারত। দেশটি সার্ক শীর্ষ সম্মেলন শুরু করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করেছে। সর্বশেষ সার্ক সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালে পাকিস্তানে। কিন্তু ওই বছরে উরি এলাকায় সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে ভারতের ১৯ জন সেনা সদস্য নিহত হন। এরপর থেকে সার্ক স্থবির হয়ে আছে। ভারতের দাবি, ওই হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ করে এমন ভূখন্ডে অবস্থানকারী সন্ত্রাসীরা। এ জন্য তারা পাকিস্তানে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।
সার্কের বর্তমান চেয়ারম্যান হলো নেপাল। তারা চাইছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সম্মেলন শুরু করতে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, যদি আঞ্চলিক সহযোগিতার এই প্লাটফরমে সর্বসম্মত সমর্থন থাকে তাহলেই সম্মেলন হতে পারে। নেপালের আগে সার্ক সম্মেলন করার জন্য বার বারই জোর দিয়েছে পাকিস্তান।