বান্দরবানে অপহৃত পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চথোই মং মারমার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের তিন দিন পর আজ শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের দুর্গম জর্দানপাড়া পাহাড়ের জঙ্গল থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জর্দানপাড়া পাহাড়ের জঙ্গলে শনিবার সকালে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। মরদেহটি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। জঙ্গলে পড়ে থাকা লাশটি অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা চথোই মং মারমার বলে শনাক্ত করেছে তার পরিবার। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের ছেলে থোয়াই থোয়াই হ্লা মারমা বলেন, ‘মরদেহটি আমার বাবা চথোই মং মারমার। গত বুধবার রাতে উজিপাড়া থেকে অস্ত্রের মুখে সন্ত্রাসীরা তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল। অপহরণের তিন দিন পর বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পাহাড়ে জঙ্গলে বাবার লাশ পাওয়া গেল। কারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এখনো জানি না।’
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর বলেন, সন্ত্রাসীরা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চথোই মং মারমাকে হত্যার পর লাশ জঙ্গলে ফেলে গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে কাল রোববার সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করবে।
এদিকে অপহরণ এবং হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করেছে। তবে জনসংহতি সমিতির জেলা সভাপতি উছোমং মারমা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা অপহরণ এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জনসংহতি সমিতি কোনোভাবেই জড়িত নয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
জেলা পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, অপহরণের পর আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাহাড়ের জঙ্গলে জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেছে। গ্রামের পাহাড়ি লোকজনও উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছে। তিন দিনের মাথায় শনিবার দুপুরে জর্দানপাড়া জঙ্গলে অপহৃতের লাশ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।