সরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পাসপোর্ট ছাড়া পাইলটের ভ্রমণ করা উচিত হয়নি। পাইলট ভুল করে পাসপোর্ট ছাড়াই দোহা গেছেন। তাঁর এ ধরনের ভুল করা উচিত হয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদর দপ্তরে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, পাইলট ভুল করে পাসপোর্ট নেননি। প্রধানমন্ত্রীকে বহন করার জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটটিতে তাঁর এ ধরনের ভুল করা উচিত হয়নি।’ তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় পাইলটের পাসপোর্ট না দেখায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে কামারুজ্জামান নামের একজন সাব-ইন্সপেক্টরকে (এসআই) বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইমিগ্রেশন পুলিশের পাসপোর্ট চেক করা উচিত। পাইলট ভুল করেই এটা করেছেন। বিমানবন্দরে দুই-তিন জায়গায় চেক হয়। তারপরও তিনি চলে গেছেন। তবে আমি বলব এটা প্রধানমন্ত্রীর বিমান, তাই এই ভুলটা করা পাইলটের উচিত হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
ঈদের সময় নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে নিরাপত্তা ভালো ছিল, দেশের জনগণ সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করেছে।
গত ৫ জুন রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট নিয়ে কাতারের উদ্দেশে রওনা করেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ চৌধুরী। কিন্তু দোহার হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে ফ্লাইট অবতরণের পর নিজের পাসপোর্ট খুঁজে পাননি ফজল মাহমুদ। তাঁর দাবি, ভুল করে অন্য একটি ব্যাগে থাকা পাসপোর্টটি দেশে রেখে এসেছিলেন। পরে দেশ থেকে পাসপোর্ট পাঠানোর পর কাতারে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন তিনি। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে, কাতার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ফজল মাহমুদকে আটক করেছে। তবে বিমানের পক্ষ থেকে তাঁকে আটক করা হয়নি উল্লেখ করে গতকাল শুক্রবার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।