মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। বুধবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এই রায় দেন।
কারাদণ্ড পাওয়া ওই আসামি হলেন মিজানুর রহমান। তিনি সদর উপজেলার পূর্ব মিতরা গ্রামে বাসিন্দা। রায় ঘোষণা সময় তিনি ট্রাইব্যুনালে অনুপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি বিশেষ কৌঁসুলি (পিপি) নূরুল হুদা রুবেল বলেন, বাড়ি থেকে কলেজে আসা-যাওয়ার সময় প্রায় ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন মিজানুর রহমান। ২০০৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাতে শৌচাগারে যাওয়ার পথে ওই কলেজ ছাত্রীকে ওড়না দিয়ে মুখ চেপে বাড়ির পাশে ধর্ষণ করেন মিজানুর। এই ঘটনার দুই দিন পর ওই ছাত্রী বাদী হয়ে সদর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের ৭ মার্চ মামলাটি ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়।
নূরুল হুদা রুবেল বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক রয়েছেন। এই মামলায় মোট নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউক্যাসল। বলা হচ্ছে, মানুষ প্রাথমিকভাবে পানীয় জলের উৎস বা আধেয় হিসেবে প্লাস্টিক হজম করছে। এর বাইরে প্লাস্টিকের আরেকটি উৎস হচ্ছে শেলফিশ প্রজাতির মাছ। এই প্রজাতির মাছ সাধারণত পুরোটাই খাওয়া হয়। ফলে এর পেটে থাকা প্লাস্টিকও মানুষ খেয়ে ফেলছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদিনের খাবার ও বিভিন্ন পানীয়তে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা পাওয়া যাচ্ছে। গবেষকেরা বলছেন, এটি বৈশ্বিক সমস্যায় রূপ নিচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০০ সাল থেকে পুরো বিশ্বে যে পরিমাণ প্লাস্টিক উৎপাদিত হচ্ছে, তা বিগত বছরগুলোর মোট পরিমাণের সমান। এর এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ সরাসরি প্রকৃতির সংস্পর্শে আসছে। প্লাস্টিক দূষণের তীব্রতা অঞ্চলভেদে কম-বেশি হয়। তবে এখনো পর্যন্ত এমন কোনো স্থান এই পৃথিবীতে নেই, যেখানে প্লাস্টিক দূষণ দেখা যায়নি।
গবেষকেরা বলছেন, মাথাপিছু প্রতিটি মানুষ শুধু পানি থেকেই সপ্তাহে ১ হাজার ৭৬৯টি প্লাস্টিক কণা গ্রহণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে কলে সরবরাহ করা পানির ৯৪ শতাংশেই থাকে প্লাস্টিক ফাইবার। অর্থাৎ প্রতি লিটার পানিতে থাকে গড়ে ৯ দশমিক ৬টি প্লাস্টিক ফাইবার। তবে ইউরোপের পানিতে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় দূষণ কম। সেখানে প্রতি লিটারে পাওয়া গেছে ৩ দশমিক ৮টি প্লাস্টিক ফাইবার।
প্লাস্টিকের এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা মানুষের দেহে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব রাখতে পারে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফি সেন্টারের অধ্যাপক রিচার্ড ল্যামপিট সিএনএনকে বলেন, ‘মানুষের দেহে প্লাস্টিকের প্রভাব কতটা ক্ষতিকর, তা পরিমাপে আরও বিস্তৃত গবেষণার প্রয়োজন আছে। যদি দীর্ঘমেয়াদে প্লাস্টিক মানুষের দেহে প্রবেশ করতে থাকে, তবে এর স্বাস্থ্যঝুঁকি মারাত্মক আকার নিতে পারে। তবে এই বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।’
বর্তমানে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৩৩০ মিলিয়ন মেট্রিক টনের বেশি প্লাস্টিক উৎপাদিত হচ্ছে। প্লাস্টিকের বৈশ্বিক উৎপাদন ২০৫০ সালের মধ্যে বর্তমানের চেয়ে তিনগুণ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।