মিয়ানমারের মন রাজ্যে ভারি বর্ষণে ভূমিধসে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪২ জন। তবে ধসে পড়া মাটির নিচে এখনও অনেকে চাপা পড়ে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মাওলামিয়াইং থেকে ইলেভেন মিডিয়া গ্রুপ এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাউং টাউন এলাকার একটি গ্রাম থেফুগন মাটিতে চাপা পড়েছে। মন রাজ্যের আঞ্চলিক অভিবাসন ও মানব সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী তুন মিন অং বলেছেন, শুক্রবার সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা উদ্ধার করতে পেরেছেন ২১টি মৃতদেহ।
এ ছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে আহত ৪২ জনকে। তাদেরকে পাঠানো হয়েছে পাউং টাউনস হাসপাতাল ও মাওলামিয়াইং জেনারেল হাসপাতালে। তিনি বলেছেন, মাটির নিচে চাপা পড়েছে প্রায় ১৬টি বাড়ি এ ছাড়া ভূমিধসে নষ্ট করে দিয়েছে অনেক গাড়ি।
ওই গ্রামের বাসিন্দা অ্যান কু বলেন, ভারি বর্ষণে বন্যা হতে পারে এই আশঙ্কায় আমরা নিরাপদ স্থানে সরে গিয়েছিলাম। পরে আমরা ফিরে যাই। এরই মধ্যে শুরু হয় ভূমিধস। মাটিতে চাপা পড়ে বাড়িঘর। পানি আর মাটির ¯্রােত ভাসিয়ে নিয়ে যায় গাড়ি। আমরা একজন ভিক্ষু ও একটি শিশুকে উদ্ধার করেছি। তাদেরকে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা গেছেন ওই ভিক্ষু। আমরাই সেখানে ১৭টি মৃতদেহ দেখতে পেয়েছি।
পাউং শহরের মা-লাট পাহাড় ধসের ফলে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়। এতে ইয়াঙ্গুন- মাওলামিয়াইং মহাসড়ক প্রায় ২ ফুট মাটিতে ঢাকা পড়ে। নাতসিংয়ং গ্রামের নাই উইন বলেন, আমরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছি দেখতে পাই মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে বাড়িঘর ও যানবাহন। লোকজনকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ক্লিনিক ও হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এখন জানি না ওই মাটির নিচে আর কত মানুষ চাপা পড়ে আছে।