ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগে কাল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সাকিব। অধিনায়ক জেসন হোল্ডার বোলিং শুরু করিয়েছেন তাকে দিয়ে। ১৫০ রান তাড়া করতে নেমে সাকিবকে ব্যাটিংয়ে পাঠান তিনে। ব্যাট-বল দুই বিভাগেই সেরা পারফরম করে হোল্ডারের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডার। তবে খুশি মনে মাঠ ছাড়তে পারেননি। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ১ রানে হেরে যায় সাকিবের দল। শেষ ওভারে ১২ রানের দরকার ছিল বার্বাডোজের। ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ১০ রান তুলতে পেরেছে ট্রাইডেন্টস।
তার আগে ট্রাইডেন্টসের ইনিংস মাঝপথ পর্যন্ত টেনে নেন সাকিব। তৃতীয় ওভারে দলীয় ১ উইকেটে ১৫ রানে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন। ওপেনার অ্যালেক্স হেলসকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪১ রানের জুটি। ১২তম ওভার পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন সাকিব। আউট হওয়ার আগে ইনিংসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহও এসেছে তার ব্যাট থেকে। ১ ছক্কা ও ৩ চারে ২৫ বলে করেন ৩৮ রান। সাকিব যখন আউট হন ৫২ বলে ৬৫ রান দরকার ছিল ট্রাইডেন্টসের। হাতে ছিল ৭ উইকেট। জেপি ডুমিনি, হোল্ডার ও নার্সরা থাকতেও এখান থেকে ম্যাচটা জিততে পারেনি ট্রাইডেন্টস।
আগে ব্যাটিংয়ে প্যাট্রিয়টসের ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১৪৯ রানে। দলটির ইনিংসকে উড়তে না দেওয়ার নেপথ্য কারিগরও সাকিব। মেডেন নিয়ে শুরু করেছিলেন বোলিং। পরের ওভারে দেন ৪ রান। নিজের তৃতীয় ওভারে ৬ রান দিলেও শেষ ওভারে এসে উইকেটের দেখা পান সাকিব। তুলে নেন বিপজ্জনক কার্লোস ব্রাথওয়েটের উইকেট । ৪ ওভারের স্পেলে ১ মেডেন ১৪ রানে ১ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।