জাপান সাগরে দুটি ‘প্রজেক্টাইল’ নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। জাপান সরকার জানিয়েছে, নিক্ষেপিত বস্তু দুটি আপাতদৃষ্টিতে দেখতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মনে হয়েছে। যদি এমনটা সত্য হয় তাহলে চলতি মাসে এটা হবে উত্তর কোরিয়ার ১২তম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রটিকে পারমাণবিক অস্ত্র হিসেবেই বিবেচনা করেছে বিশেষজ্ঞরা। বলেছে, সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সনাক্ত করা কঠিন। এছাড়া লক্ষ্যবস্তুর কাছ থেকেও এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা সম্ভব, যা এটিকে অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে বিপজ্জনক করে তোলে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জানান, বৃহ¯পতিবার জাপানে দুটি প্রজেক্টাইল নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া।
ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণ পিয়ঙ্গান প্রদেশ থেকে সেগুলো নিক্ষেপিত হয়েছে। জাপানের এক্সক্লুসিভ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে নিক্ষেপিত হয় এগুলো। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের মা মারা গেছেন। বুধবার মুনের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। বৃহ¯পতিবার নিজের মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন মুন। সেদিনই সমুদ্রে প্রজেক্টাইলগুলো নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া।
বিশেষজ্ঞরা জানান, উত্তর কোরিয়ার কাছে মার্কিন ভূখণ্ডে হামলা চালাতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। দেশটি দাবি করেছে, তাদের কাছে তারা ক্ষেপণাস্ত্রের মাথায় চাইলে পারমাণবিক বোমাও যোগ করতে পারে।