রাজবাড়ীতে নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে ঘটনা ধামাচাপা দিতে কৌশলে ধর্ষক কাবিলের মা বড়ই বেগম ওষুধ খাইয়ে তার গর্ভপাত ঘটায় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে পাংশা থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- কাবিল খাঁ ও তার মা বড়ই বেগম, একই গ্রামের গফুর খাঁর ছেলে মঞ্জু খাঁ, হিসাই মিয়ার ছেলে সোনাই মিয়া, ইসলাম মিয়ার ছেলে নিলু মিয়া।
জানা গেছে, পাংশা উপজেলায় যশাই ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী গ্রামের গফুর খাঁর ছেলে কাবিল খাঁ দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলো। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়েন।
পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে কাবিল। সেইসঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে কৌশলে কাবিলের মা বড়ই বেগম ওই ছাত্রীকে ওষুধ খাইয়ে তার গর্ভপাত ঘটায়।
এদিকে মামলা তুলে নিতে আসামিপক্ষ হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা। এখন পর্যন্ত কোনও আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।।