আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় বৃটেনের আগাম সাধারণ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রেক্সিট পার্টির প্রধান নাইজেল ফারাজ। তবে তিনি অঙ্গীকার করেছেন যে, ব্রেক্সিট পার্টি এমন প্রচারণা চালাবে যা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফারাজ বহু আগ থেকেই ব্রেক্সিট সম্পন্নের ব্যাপারে জোর দিয়ে আসছেন। এমনকি নির্বাচনের চেয়ে ব্রেক্সিটকে গুরুত্ব দিয়েছেন। এমতাবস্থায়, ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ নির্ধারণী নির্বাচনে তার অংশ না নেয়ার ঘোষণায় অবাক হয়েছে বৃটেনের রাজনৈতিক মহল। এ খবর দিয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
খবরে বলা হয়, রোববার বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্বাচনে না লড়ার কথা জানান ফারাজ। তিনি জানান, নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবেন তিনি।
নিজে না লড়ে দলের অন্যান্য নেতাদের হয়ে প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ফারাজ বলেন, আমি সারাজীবন রাজনীতিতে যুক্ত থাকতে চাই না। এ বিষয়ে বেশ ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজে নির্বাচনে না লড়ার ঘোষণা দিয়ে জনসনের জন্য আর বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হলেন ফারাজ।
ফারাজ জানান, তিনি পুরো বৃটেনজুড়ে দলের হয়ে প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা করছেন। জনসন তার নির্বাচনী প্রচারণায় নিজের প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তির সমর্থন জোগাড়ে জোর দিচ্ছেন। ফারাজ জানিয়েছেন, তিনি ওই চুক্তির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাবেন। প্রসঙ্গত, জনসন পূর্বে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে চান তিনি। প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট করতেও সমস্যা ছিল না তার। ‘মরবো নয় ব্রেক্সিট সম্পন্ন করবো’ নীতি নিয়ে এগুচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু পার্লামেন্টে তার প্রস্তাবিত চুক্তি একাধিকবার পাস হতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব তোলেন তিনি। কয়েক দফা প্রত্যাখ্যান হবার পর পার্লামেন্ট তার প্রস্তাবে সাড়া দেয়। তবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে নিজের অবস্থান পাল্টেছেন জনসন। প্রচারণায়, চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের সম্ভাবনা নাকচ করে, নিজের চুক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী।
ফারাজ বিবিসির সাক্ষাৎকারে বলেন, জনসন যদি সত্যি ব্রেক্সিটের চেষ্টা করতো তাহলে আমাদের এই নির্বাচনের প্রয়োজন পড়তো না। বরিস যদি তার বর্তমান চুক্তি পাসে দৃঢ় থাকে তাহলে সেটা ব্রেক্সিট হবে না।
এদিকে, রোববার এক সাক্ষাৎকারে ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন জনসন। তিনি বলেন, এটা গভীর অনুতাপের বিষয়।