বাংলাদেশ ক্রিকেটে সম্ভাবনাময় পেসারদের একজন ছিলেন কাজী অনিক। নিউজিল্যান্ডে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত বোলিং করে নাম কুড়িয়েছিলেন। গতির ঝলক দেখিয়ে দলও পেয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)।
গত বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েও শুরু থেকে খেলা হয়নি চোটে পড়ে। শেষদিকে কয়টা ম্যাচে খেললেও দেখাতে পারেননি নিজের ছন্দ
এবারও ড্রাফটেই ছিলেন না এই পেসার। কারণ হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানায়, কৌশলগত কারণে ড্রাফটের বাইরে রাখা হয়েছে কাজী অনিককে।
কিন্তু পরে জানা যায়, জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে যান এই উদীয়মান পেসার।
অনিকের শাস্তি কী হতে পারে তার একটা ধারণাও দিয়ে দেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
‘আমরা জানি ও ডোপ টেস্টে পজিটিভ। একারণেই ও আমাদের কোন পরিকল্পনায় নেই। তবে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। কেন না বিসিবি মেডিক্যাল বিভাগের প্রতিবেদন হাতে পাইনি এখনও। হাতে পেলে মিটিং করে ওর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেব। বাইলজ অনুযায়ী ডোপে পজিটিভ একজন ক্রিকেটার ২ থেকে ৫ বছর নিষিদ্ধ হতে পারেন। ওর ক্ষেত্রেও তাই হবে।’
অনিক বিসিবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায়ও ছিলেন। কিন্তু এমন কিছুর পর তাকে কোনও পরিকল্পনাতেই রাখা হচ্ছে না বলে যানান মিনহাজুল আবেদীন।
‘ভবিষ্যৎ অনেক পরিকল্পনার অংশ ছিলেন কাজী অনিক। কিন্তু বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় তাকে সেসব থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, ‘আমাদের বেশ কিছু প্রোগ্রামে সে সঙ্গী ছিল। কিন্তু পরিপূর্ণ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাকে এখন আর সেখানে রাখছি না।’