শেষ বলের রোমাঞ্চে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে বিপিএল’র প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। গতকাল চট্টগ্রামের দেয়া ১৬০ রানের লক্ষ্যটা ৩ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় কুমিল্লা। লিয়াম প্লাঙ্কেটের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ১৬ রান প্রয়োজন ছিল দলটির। প্রথম ৪ বলে আসে ১৩। পঞ্চম বলে আউট ডেভিড মালান। শেষ বলে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান চার মেরে নিশ্চিত করেন কুমিল্লার জয়। এই জয়েও ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুমিল্লা। ৯ ম্যাচে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট।
ইংলিশ ব্যাটসম্যান ডেভিড মালানের ব্যাটে চড়েই জয় পায় কুমিল্লা।
তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে মালান আউট হন ইনিংসের শেষ ওভারে। ৫১ বলে খেলেন ৭৪ রানের ইনিংস। যাতে ছিল ৫ চার ও ৪ ছক্কার মার। ওপেনার স্টিয়ান ভ্যান জিল ১২ বলে ২২ ও রবিউল ইসলাম করেন ১৭ রান। সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ১৮ রান। শেষ দিকে আবু হায়দার রনির ৮ বলে ১২ রানের অপরাজিত ইনিংসটিও কুমিল্লার জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শেষ ওভারে একটি করে চার-ছয় হাঁকান রনি। চট্টগ্রামের হয়ে ৪ ওভারে ১৬ রানে ২ উইকেট নেন পেসার রুবেল হোসেন। ৩ ওভারে ৯ রানে রায়ান বার্লের শিকার ১ উইকেট।
এর আগে শতরানের ওপেনিং জুটির পরও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৫৯ রানে থামে।মিরপুরে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় চট্টগ্রাম। ওপেনার লেন্ডল সিমন্স-জুনায়েদ সিদ্দিকী মিলে ১১ ওভারেই ১০০ পার করেন। দলীয় ১০৩ রানে সিমন্সকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন সৌম্য। ৩৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৫ রান করেন এই ক্যারিবীয় তারকা। পরের ওভারে রানআউটে কাটা পড়েন জুনায়েদ সিদ্দিকী। ৩৭ বলে ৬ চারে তার সংগ্রহ ৪৫ রান। ১৪তম ওভারে সৌম্য বল হাতে নিয়ে সাজঘরে ফেরান রায়ান বার্লকে (২)। দলীয় ১১৬ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন চ্যাডউইক ওয়ালটন (৯)। টানা চার ওভারে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কুমিল্লা। আফগান ব্যাটসম্যান জিয়াউর রহমানের ২১ বলে ৩৪ রানের ইনিংসে ২০ ওভারে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৫৯ রান। কুমিল্লার হয়ে ৪ ওভারে ২০ রানে ২ উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার সৌম্য সরকার। একটি করে উইকেট নেন সানজামুল, আল আমিন ও ডেভিড ওয়াইস। আফগান অফস্পিনার মুজিব উর রহমান কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেন মাত্র ১৮ রান।