চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮ মাস আগেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের চাকরি হারান চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আর এ কারণে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) কাছে ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এই কোচ। রোববার লঙ্কান বোর্ড সেক্রেটারি মোহন ডি সিলভা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘তিনি (হাথুরুসিংহে) ৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।’
শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম সানডে আইল্যান্ড জানায়, হাথুরু তার চুক্তির বাকি ১৮ মাসের জন্য ফুল স্যালারি দাবি করেছেন। যা এক মিলিয়ন ডলারের ওপরে। এছাড়া হাথুরুর দাবি, নির্ধারিত সময়ের আগে চুক্তি বাতিল হওয়ায় তার মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। এজন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে তিনি আরো ৪ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছেন। তবে বোর্ড কেবল তাকে ৬ মাসের বেতন দিতে রাজি হয়েছে।
হাথুরুর অধীনে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপটা বাজে কাটে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের। আসরে ১০ দলের মধ্যে ষষ্ঠ হয়ে দেশে ফেরে তারা।
ক্রীড়া মন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো লঙ্কানদের ব্যর্থতার দায় চাপান হাথুরুর কাঁধে। দেশি কোচের বেতন এত বেশি কেন সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। মাসে ৪০ হাজার ডলার বেতন নিতেন হাথুরু। এই টাকায় দুজন বিদেশি কোচ রাখা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী। এরপর তার নির্দেশে হাথুরু ও তার কোচিং স্টাফকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। আর মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮ মাস আগেই চাকরিচ্যূত হন হাথুরু। গত ডিসেম্বরে প্রধান কোচ হিসেবে শ্রীলঙ্কা নিয়োগ দেয় পাকিস্তানের সাবেক কোচ মিকি আর্থারকে। ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পান জিম্বাবুয়ের গ্র্যান্ড ফ্লাওয়ার। বোলিং কোচ হন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড স্যাকার। আর ফিল্ডিং ট্রেইনার হিসেবে নিয়োগ পান শেন ম্যাকডারমট।