বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারির ‘এপিসেন্টার’ বা উৎসস্থল হলো ইউরোপ। এমন মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেডরোস আধনম ঘেব্রেয়েসাস। তিনি এর প্রেক্ষিতে সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ‘অ্যাগ্রেসিভ’ বা ‘আক্রমণাত্মক’ বা অতি জোরালো পদক্ষেপ নিতে। আহ্বান জানিয়েছেন জীবন রক্ষার জন্য সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করতে। তার ভাষায়, এই আগুন জ্বলতে দেবেন না। করোনা ভাইরাসে ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেছেন। এখানে উল্লেখ্য, এর মধ্যে একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড হয়েছে ইতালিতে। অনলাইন বিবিসির দেয়া তথ্য মতে, গত ২৪ ঘন্টায় ইতালিতে কমপক্ষে ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে সেখানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২৬৬। আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৬৬০ জন। ইতালির পরে সব চেয়ে খারাপভাবে আক্রান্ত দেশ হলো স্পেন। সেখানে শুক্রবার মৃতের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় বৃদ্ধি পায় শতকরা ৫০ ভাগ। এদিন সেখানে মারা গেছেন ১২০ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৩১ জন। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, আজ শনিবার থেকে সেখানে দু’সপ্তাহের জন্য একটি রাষ্ট্রীয় ঘোষণা বা সতর্কতা আসতে পারে। ইউরোপের বিভিন্ন সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের ১২৩ টি দেশে করোনা ভাইরাস বা কভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে এক লাখ ৩২ হাজার ৫০০। মোট মৃতের সংখ্যা ৫০০০ ছুঁই ছু্ইঁ করছে। একে একটি ‘ট্রাজিক’ মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন ড. টেডরোস। তিনি বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে ইউরোপ এখন এপিসেন্টারে পরিণত হয়েছে। কারণ, চীন বাদে সারা বিশ্বজুড়ে যে পরিমাণ মানুষ এই ভাইরাসে মারা গেছেন তার চেয়ে ইউরোপে এতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। প্রতিদিনই সেখানে নতুন নতুন আক্রান্তের খবর আসছে। চীনের সংক্রমণের উত্যঙ্গু সময়ে এমনটা হয়েছিল। ইতালি ও স্পেনে সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি ফ্রান্সেও এখন আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৭৬ বলে নিশ্চিত করেছে। সেখানে মারা গেছেন ৭৯ জন। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ৬১। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০৬২ জন। মারা গেছেন ৫ জন। বৃটেনে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯৮ জন। মারা গেছেন ১১ জন।