ঢাকা: করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলায় শুরু থেকেই মাঠপর্যায়ে কাজ করে আসছেন পুলিশ সদস্যরা। সরকার নির্দেশিত সামাজিত দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রতিদিন কোটি মানুষের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের সাক্ষাৎ হচ্ছে। এর মধ্যে গুটিকয়েক ঘটনায় পুলিশের কতিপয় সদস্যদের বিরুদ্ধে অনাকাঙ্ক্ষিত বলপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পুলিশি অ্যাকশনের ছবিকে বর্তমান পরিস্থিতির বলে প্রচার করা হচ্ছে। ছবিটি মূলত তোলা হয়েছিল ২০১১ সালে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে। সেই ছবি ফটোশপে এডিট করে পুলিশ সদস্যের মুখে মাস্ক লাগিয়ে বর্তমানের ছবি বলে প্রচার করা হচ্ছে।
পুলিশ সদরদপ্তর বলছে, একটি চক্র অতীতের বিভিন্ন সময়ের পুরাতন ছবি ও ভিডিও এডিট করে বা কৌশলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে পোস্ট দিচ্ছেন। যে ঘটনাগুলোর বিষয়ে তদন্ত করে সেই সময়েই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে গুজব ছড়ানো বন্ধ করে পুলিশকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে সদরদপ্তর বলছে, গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়ালে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশের সাইবার টিমগুলো গুজব ও মিথ্যা রটনাকারীদের খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যে কাজ করছে।
পুলিশ সদরদদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা জানান, করোনার বিস্তার রোধে এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শুরু থেকেই পুলিশের দুই লক্ষাধিক সদস্য বিভিন্ন প্লাটফর্মে নিরলসভাবে কাজ করছেন। নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রতিদিন সারাদেশে কোটি মানুষের সঙ্গে পুলিশের ইন্টারঅ্যাকশন হচ্ছে। এর মধ্যে গুটিকয়েক ঘটনায় পুলিশের কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে অনাকাঙ্ক্ষিত বলপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে।
এই বিষয়গুলো গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য যে কোনো উপায়ে পুলিশ সদরদপ্তরের দৃষ্টিতে আসা মাত্রই মাঠ পর্যায়ে ইউনিট কমান্ডারদেরকে তাৎক্ষনিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ব্যক্তিগতভাবে ভিডিও বার্তায় এবং মোবাইল ফোনে অপারেশনাল সব কমান্ডারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। অপারেশনাল ইউনিট কমান্ডাররাও মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের একইভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন।
এর ফলে, একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে বলে পুলিশ সদরদপ্তরের দৃষ্টিতে আসেনি। এরপরেও কিছু গণমাধ্যমে নতুন করে পুরাতন অভিযোগগুলো নিয়ে এমনভাবে সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে যাতে মনে হচ্ছে এখনও বলপ্রয়োগ অব্যাহত রয়েছে।
গুজব ছড়ানো প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি দুষ্ট চক্র অতীতের বিভিন্ন সময়ের পুরাতন ছবি ও ভিডিও এডিট করে বা কৌশলে ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে পোস্ট দিচ্ছেন। অথচ যেসব ঘটনা গুলোর বিষয়ে তদন্ত করে সেই সময়েই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
পুলিশের প্রায় শতভাগ সদস্য যারা এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও করোনা আক্রান্ত মরদেহ সৎকারসহ নানা কাজ করছেন, এ ধরনের মিথ্যাচারের ফলে তারা মানসিকভাবে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।
গুজব ছড়ানো বন্ধ করে পুলিশকে সহযোগিতা অনুরোধ জানিয়ে এআইজি সোহেল রানা বলেন, অন্যথায়, গুজব ছড়িয়ে ও মিথ্যাচার করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়ালে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের সাইবার টিমগুলো গুজব ও মিথ্যা রটনাকারীদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে।