১৬ জেলা লকডাউন

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন জেলায় ইতোমধ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন ঘোষিত জেলাগুলোতে অন্য জেলা থেকে লোকজনের আসা যাওয়া এবং জেলার আভ্যন্তরীণ চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কঠোর অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
যেসব জেলা লকডাউন সেগুলা হলো-
নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলাকে গত বুধবার (৮ এপ্রিল) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন করা হয়েছে। তবে জরুরি পরিষেবা, যেমন—চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ এর আওতাবহির্ভূত থাকবে।
গাজীপুর : শনিবার (১১ এপ্রিল) থেকে গাজীপুর জেলাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন (অবরুদ্ধ) করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে পার্শ্ববর্তী জেলায় যাওয়ার জন্য ট্রানজিট হিসেবে জাতীয় মহাসড়ক ব্যবহার ছাড়া উপজেলার যেকোনও সীমানা দিয়ে প্রবেশ ও প্রস্থানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নৌপথেও এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
কুমিল্লা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কুমিল্লা জেলাকে লকডাউন করেছে প্রশাসন। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর এ কথা জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইল: গেল মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) থেকে টাঙ্গাইল জেলা লকডাউন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় সাত জন করোনা শনাক্ত এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে লকডাউন কার্যকর হয়।
রাজবাড়ী: রাজবাড়ীতে আগামী ১০ দিনের জন্য জেলাকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিলসাদ বেগম।
নোয়াখালী: শনিবার (১১ এপ্রিল) থেকে নোয়াখালী জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
সিলেট: সিলেট জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। শনিবার (১১ এপ্রিল) বিকালে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
এছাড়া, ঠাকুরগাঁও, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, কক্সবাজার, গাইবান্ধা, চাঁদপুর ও চুয়াডাঙ্গায় জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *